৭ নম্বর বিপদ সংকেত
মোংলায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে না স্থানীয়রা
বাগেরহাটের মোংলায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পরও বন্দর ও পৌর শহরের কোনো লোকজনই নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি। যার কারণে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখন তালা ঝুলছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টার দিকে শহরের চালনা বন্দর ফাজিল মাদরাসা আশ্রয়কেন্দ্র, মোংলা পোর্ট স্কুল আশ্রয়কেন্দ্র ও দিগন্ত স্কুল আশ্রয়কেন্দ্রটিতে তালা ঝুলতে দেখা গেছে।
আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর দায়িত্বরতরা বলছে, লোকজন না আসাতেই আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হচ্ছে না। তাই তালা দেয়া রয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকায় লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রমুখী হচ্ছে না। তবে আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকে সকল আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেয়া হবে এবং জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
এদিকে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার সর্ব দক্ষিণের শেষ জনপদ পশুর নদী ও জয়মনিরঘোল এলাকায় নদীর পাড়ে ও সুন্দরবনের পাশে বসবাসরতদের সন্ধ্যার আগেই আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
মোংলার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা চিলা ইউনিয়নের প্রায় ৩-৪ হাজার বাসিন্দা ৭টি আশ্রয়কেন্দ্র, জয়মনি ফুড সাইলোসহ বিভিন্ন স্কুল ভবনে আশ্রয় নিয়েছে। চিলা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এছাড়া সুন্দরবনের দুর্গম এলাকা বিশেষ করে শ্যালা ও কোকিলমনিসহ অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ ক্যাম্পের বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সন্ধ্যার আগেই নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বন্দর কর্তৃপক্ষ, পৌর কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশসহ বিভিন্ন সংগঠন বিপদ সংকেতের বার্তা প্রচার করে জনসাধারণকে সতর্ক এবং আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনুরোধ জানাচ্ছেন।
সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল ও কর্মস্থলে থাকায় বন্দর, উপজেলা প্রশাসন, পৌর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি এবং প্রচারণায় পূর্বের তুলনায় লোকজনের মধ্যে অধিক সচেতনতা লক্ষ্য করা গেছে।