সাভারে শরীরে আগুন দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা
সাভারের কর্ণপাড়া এলাকায় হাসিনা বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূ নিজ শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার স্বামী তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিযেছেন বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের মা। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ মে)সকালে সাভারের এনাম মেডিকেল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে সাভারের কর্ণপাড়া এলাকায় নুর আলমের নিজ বাড়িতে দুপুরে পারিবারিক কলহের জেরে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় হাসিনা।
তবে হাসিনার মা রাফেজা খাতুনের অভিযোগ, অনেক আগে থেকে তার মেয়ে নির্যাতনের স্বীকার। এর আগেও নুর আলমের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করেছিলেন তিনি। সেই মামলায় দগ্ধের স্বামী ১ মাস জেলে ছিল।
এ বিষয়ে নিহতের স্বামী নুর আলম বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এমনটা হয়েছে। তিনি দুইতলা ভবনের নিচতলায় থাকা অবস্থায় দুইতলায় হাসিনা তার শরীরে কেরোসিন দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে বাড়ির ভাড়াটিয়াসহ পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি করে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো.রেজাউল হক বলেন, রোগীর অবস্থা গুরুতর, তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তিনি আশঙ্কা মুক্ত ছিলেন না। তাকে শতভাগ লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই তিনি মারা গেছেন।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) এএফএম সায়েদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, আত্মহত্যার প্ররোচনায় তিনি গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন লাগিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
এ ঘটনায় দগ্ধের মা রাফেজা খাতুনের অভিযোগের ভিত্তিতে হাসিনার স্বামী নুরুল হকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে সাভার থানায় মামলা হয়েছে।
হাসিনা বেগম মানিকগঞ্জ জেলার আব্দুল জলিলের মেয়ে। তার স্বামী নুর আলম আড়াই বছর ধরে প্যারালাইজড এ আক্রান্ত আছেন বলে জানা গেছে।