মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন মণিকা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মণিকা ও তার স্বামী সন্তান।  ছবি: সংগৃহীত

মণিকা ও তার স্বামী সন্তান। ছবি: সংগৃহীত

চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে প্রাণ হারালেন গৃহবধূ দিপিকা আচার্য্য মণিকা। শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় মণিকার স্বামী, শাশুড়ি ও ভাসুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মণিকা চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড বকুলতলা রোডের রঞ্জিত আচার্য্যের ছেলে বিপুলের স্ত্রী। দশ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। তার বাবার বাড়ি নরসিংদী জেলার ছোট মাধবদী উপজেলার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে। তাদের দাম্পত্য জীবনে তিন বছরের শিশু কন্যা রয়েছে।

মণিকার বড় ভাই অরবিন্দ আচার্য্য জানান, বিপুল মাদকাসক্ত। তাদের পরিবারে ঝগড়া লেগেই থাকত। বিপুল ঘরে বসেই ইয়াবা সেবন করত। ভাসুর সজল ও বিপুলের অনেক টাকা মূল্যের একটি জায়গা আছে। কয়েক মাস যাবৎ ওই জায়গা বিক্রয়ের চেষ্টা করে আসছে সজল ও বিপুল। মণিকা ওই জায়গা বিক্রয় করতে বাধা দিয়ে আসছিল।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, গত ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে স্বামী বিপুল ও ভাসুর সজল আচার্য্য কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে মণিকাকে হত্যার চেষ্টা করে। পরে এ ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে দুর্ঘটনা বলে প্রচার করা হয়। দুর্ঘটনার পর মণিকাকে প্রথমে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তীতে কুমিল্লা মেডিকেলে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তবে মৃত্যুর আগে স্বামী বিপুল ও ভাসুর সজল আচার্য্যের বিরুদ্ধে জবানবন্দী দিয়েছেন মণিকা।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি জানান, মণিকার শরীরের ৯২ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।