নুসরাত হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আরও একটি বোরকা উদ্ধার
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যায় ব্যবহৃত আরও একটি বোরকা উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শনিবার (৪ মে) দুপুরে মামলার অন্যতম আসামি শাহাদাত হোসেন শামীমের তথ্যমতে মাদসার পুকুর থেকে বোরকাটি উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম বার্তা২৪.কম-কে জানান, নুসরাত হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি শাহাদাত হোসেন শামীমকে নিয়ে নিয়ে মাদরাসায় অভিযান চালানো হয়। পরে ঐ মাদরাসার পূর্ব দিকে পুকুরের দক্ষিণ পাশে তার দেখানো স্থান থেকে একটি বোরকা উদ্ধার করা হয়।
পিবিআইয়ের তথ্যমতে, হত্যাকাণ্ডের সময় শামীম এ বোরকাটি ব্যবহার করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। এদিকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার শাহাদাত হোসেন শামীম ও জাবেদ হোসেনকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ধ্রুব জ্যোতি পালের আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২ মে) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের দুই জনকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন তাদের দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এই মামলায় মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা সহ ৯ জন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এদের মধ্যে নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়ের দায়ে মাদরাসাটির অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। পরে ৬ এপ্রিল ঐ মাদরাসার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মারা যান নুসরাত জাহান রাফি। এ ঘটনায় তার বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলাসহ আট জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামালা দায়ের করেন। মামলার এজহারভুক্ত আট আসামিসহ এখনো পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ ও পিবিআই।