ভালো নেই পায়রা পাড়ের মানুষ

  • আব্দুস সালাম আরিফ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

গত এক বছরের অধিক সময় ধরে পায়রা নদী সংলগ্ন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৪ নং দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের চারটি গ্রামের মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। উচ্চ জোয়ারের পানি কিংবা অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় নির্ঘুম রাত কাটে এসব এলাকার মানুষের।

তবে এর সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। শুক্রবার (৩ মে) স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙা বেড়িবাঁধগুলো নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৪ মে) এসব দুর্গত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অনেকের বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা বাঁধের উপরে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউবা আবার শিশুদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে গেছেন।

মেন্দিরাবাদ গ্রামের ৬৫ বছর বয়সী কৃষক রুহুল আমিন জানান, গত দেড় বছর আগে মেন্দিরাবাদ গ্রাম সংলগ্ন পায়রা পাড়ের বাঁধটি ভেঙে যায়। এর ফলে এখনো চরখালি, হাজী খালি এবং রানীপুর গ্রামের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এসব এলাকার তিন শতাধিক পরিবার এখন প্রতিনিয়ত পানিবন্দী অবস্থায় জীবনযাপন করে। ফলে জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করে তাদের রান্নাবান্না করতে হচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/04/1556981029814.gif

এছাড়াও এসব এলাকার প্রায় ৫০০ একর জমি অনাবাদি হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখনই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করলে আগামীতে আউশ এবং আমন আবাদ করা যাবে না বলেও জানান কৃষক রুহুল আমিন।

৪ নং দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের 8 নং ওয়ার্ডের মেম্বার খলিলুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কাছে আবেদন করলেও ভাঙা বেড়িবাঁধগুলো সংস্কারের জন্য কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এর ফলে প্রতিনিয়ত তাদেরকে বাড়িঘর ছাড়তে হয়।

তিনি আরও জানান, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই বেড়িবাঁধটি সংস্কার করা না হলে এই এলাকায় চরম বিপর্যয় দেখা দেবে।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান জানান, ২০১৮ সালের দিকে মির্জাগঞ্জের পায়রা নদী ভাঙনের কারণে ওই এলাকার বেড়িবাঁধগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে নতুন করে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য কয়েক দফা এলাকা পরিদর্শন করলেও স্থানীয়রা জমি দিচ্ছে না। তাই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ বছর নতুন করে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য তারা আবারো উদ্যোগ নেবেন।

ক্ষতিগ্রস্ত এসব এলাকার বাসিন্দারা দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আরও কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।