ফণী: খলায় নষ্ট হচ্ছে মাড়াই করা ধান

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রোদের দেখা না মেলায় মাড়াই করা ধান খলায় (ধান শুকানোর মাঠ) নষ্ট হচ্ছে।  ছবি: বার্তা২৪.কম

রোদের দেখা না মেলায় মাড়াই করা ধান খলায় (ধান শুকানোর মাঠ) নষ্ট হচ্ছে। ছবি: বার্তা২৪.কম

কয়েকদিন ধরেই দেশের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ঘূর্ণিঝড় ফণী। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে এটি অতিক্রম করলেও এক কিছুটা প্রভাব পড়েছে হবিগঞ্জে। এর প্রভাবে গত ৩ দিন ধরে হবিগঞ্জে বৃষ্টি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল থেকে হবিগঞ্জে বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার (৪ মে) ভোররাত থেকে কোথাও কোথাও মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে। এতে বিপাকে পড়েছে হাওরের কৃষকরা। তিনদিন ধরে রোদের দেখা না মেলায় মাড়াই করা ধান খলায় (ধান শুকানোর মাঠ) নষ্ট হচ্ছে। আবার বৃষ্টি-বজ্রপাত আতঙ্কে তিনদিন ধরে হাওরে ধান কাটাও বন্ধ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার হবিগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে গিয়ে দেখা যায়- প্রতিটি খলায় স্তূপ করে রাখা হয়েছে মাড়াই করা ধান। তিনদিন ধরে রোদ না থাকায় মাড়াই করা ধান শুকাতে পারছে না কৃষকরা। ফলে ধান নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কেউ কেউ আবার ধান সিদ্ধ করেছিল। রোদে দিতে না পারায় তাও নষ্ট হচ্ছে।

এদিকে, আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে রোববার (৫ মে) বিকেলের আগে আকাশ পরিষ্কার হচ্ছে না। সুতরাং সোমবারের (৬ মে) আগে রোদের আশা করা যাচ্ছে না। এতে করে আরও দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা।

বিজ্ঞাপন

বানিয়াচং উপজেলার সুনারু গ্রামের কৃষক অর্জুন দাশ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘তিনদিন ধরে রোদের দেখা মিলছে না। টিভিতে খবর দেখেছি, সোমবারের আগে রোদ উঠবে না। তাই মাঠের কাটা ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’

একই উপজেলার কাগাপাশা গ্রামের কৃষক মো. সুমন মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘খাওয়ার জন্য ধান সিদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু তিনদিন হয়ে গেল এখন পর্যন্ত তা রোদে দিতে পারছি না। কাল যদি রোদে দিতে না পারি তাহলে ধান নষ্ট হবে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, হাওরের ৯০ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে। কালকের (রোববার) পর রোদ উঠলে ৫-৬ দিনের মধ্যেই ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে।

তিনি আরও জানান, তিনদিন রোদ না থাকায় কৃষকদের একটু সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু কী আর করার আছে?