চাঁদাবাজির অভিযোগে আরএমপি’র তিন পুলিশ বরখাস্ত
জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ও দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় তাদেরকে মহানগরীর রাজপাড়া থানা থেকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়। এর আগে বিকেলে আরএমপি কমিশনার হুমায়ুন কবীর তাদের বরখাস্তের আদেশ দেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এএসআই হলেন শরীফুল ইসলাম। অন্য দুই কনস্টেবল হলেন- মনিরুল ইসলাম ও সুজন আলী। তারা মহানগরীর রাজপাড়া থানায় কর্মরত ছিলেন।
আরএমপি’র মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, ভুক্তভোগীর ভাইয়ের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর একজন উপ-কমিশনার (ডিসি) অভিযোগটি তদন্ত করেন। তদন্তে এর প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই তাদের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিয়েছেন আরএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, সাময়িক বরখাস্ত বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রথম ধাপ। এখন বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করা হবে। তদন্তে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের হরিপুর সাহাপাড়ার আবদুল হাকিম মানিক নামে এক ব্যক্তি পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে আবদুল হাকিম উল্লেখ করেন, গত ২৮ এপ্রিল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার ভাই মো. সালাহউদ্দিন রাজশাহীতে চিকিৎসা করাতে আসেন। ওই দিন নগরীর ডাবতলা এলাকায় এএসআই শরীফুলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তার ভাইকে জিম্মি করে নির্যাতন করেন ও মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে তিন হাজার টাকা কেড়ে নেন। এছাড়া মোবাইলের বিকাশের মাধ্যমে পরে আরও ৪ হাজার টাকা নেওয়া হয়।
এদিকে সাময়িক বরখাস্তের পর এএসআই শরীফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন- ওই দিন তিনি অন্য দুইজন সহকর্মীর সঙ্গে সাদা পোশাকে ডিউটিতে ছিলেন। সালাহউদ্দিন নামে ওই ব্যক্তি রিকশায় একজন নারীর সঙ্গে যাচ্ছিলেন। তখন তাদের আচরণ অস্বাভাবিক ছিল। এজন্য রিকশা থামিয়ে তাদের কিছুটা বকাঝকা করা হয়। ছিনতাই বা জোর করে টাকা আদায়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি।