হবিগঞ্জে এক পরিবারে ৩ সদস্যই প্রতিবন্ধী
তৈয়ব আলী। বয়স ৪০। পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে তিনজনই প্রতিবন্ধী। পরিবারে কোনো কর্মক্ষম ব্যক্তি না থাকায় প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে পথে পথে ভিক্ষাবৃত্তি করে স্ত্রী-সন্তানের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন তিনি।
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার সৈদ্যারটুলা গ্রামের বাসিন্দা তৈয়ব আলী। স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে সংসার। স্ত্রী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, বড় মেয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও নিজের পা ভাঙা। কোনো কাজ করাতো দূরের কথা, লাঠিতে ভর করে চলাফেরা করতে কষ্ট হয় তার। পরিবারে কোনো কর্মক্ষম ব্যক্তি না থাকায় বড় মেয়েকে (বুদ্ধি প্রতিবন্ধী) নিয়ে পথে পথে ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান তিনি। ছন-বাঁশের একটি ভাঙা ঘরে দিনরাত কাটে তাদের। বৃষ্টি হলে ছাল চুঁইয়ে পানি পড়ে।
তিনি বার্তা২৪.কমকে জানান, দুই থেকে তিন বছর আগে ঘরের ছাল থেকে পড়ে একটি পা ভেঙে যায়। এরপর থেকে তিনি আর স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারেন না। লাঠিতে ভর করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হয় তাকে।
তিনি বলেন- ‘অনেক স্বপ্ন ছিলে ছেলে মেয়েকে লেখা-পড়া করাবো। কিন্তু এখন লেখা-পড়া করানো দূরের কথা স্ত্রী-সন্তানের মুখে খাবারই তুলে দিতে পারছি না। বৃষ্টি হলে ভাঙা ঘরে পানি পড়ে ভেসে যায়। সারারাত জেগে কাটাতে হয়।’
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) জয়নাল আবেদীন বিলাল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘তৈয়ব আলীসহ পরিবারের তিন সদস্যই প্রতিবন্ধী। ফলে খুব অসহায় সে। সরকারি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আমি তাদের দিয়ে থাকি। এরপরও যদি সমাজের বিত্তবানরা তাকে একটি ঘর নির্মাণ করে দিত তাহলে অনেক ভালো হতো।’