বগুড়ায় যৌতুকের বলি নববধূ ফারজানা
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় মাত্র ২৫ হাজার টাকা যৌতুক না পেয়ে বাল্য বিয়ের শিকার এক কিশোরীকে নির্যাতনের পর স্বামী গলা টিপে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর স্বামী রকি হোসেনসহ তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
সোমবার (১৩ মে) সকালে স্বামীর বাড়ির পাশ্ববর্তী বাঁশ ঝাড় থেকে নিহত ফারজাহানর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতামাঝগ্রাম ইউনিয়নের আগাপুর গ্রামের দিনমজুর আবুল কালামের কিশোরী মেয়ে ফারজানার একমাস আগে বিয়ে হয় পাশ্ববর্তী তারশুন গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে দিনমজুর রকি হোসেনের সঙ্গে। বিয়ের সময় ২৫ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়ার কথা থাকলেও ফারজানার বাবা টাকা পরিশোধ করতে পারেননি। এক বছর পর যৌতুকের টাকা দেবে মর্মে ১৫ দিন আগে মেয়েকে স্বামীর বাড়িতে রেখে যায়।
সোমবার সকালে স্বামীর বাড়ির পাশ্ববর্তী বাঁশঝাড়ে ড্রেনের মধ্যে ফারজানার মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় প্রতিবেশীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই স্বামী রকি হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়।
নিহত ফারজানার বাবা আবুল কালাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘রকি তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর ফারজানাকে বিয়ে করে। বিয়ের সময় কথা হয় যৌতুকের ২৫ হাজার টাকা এক বছর পর দেওয়ার। কিন্তু ফারজানা স্বামীর বাড়ি যাওয়ার পর ঈদের আগেই টাকা দাবি করে আসছিল রকি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যৌতুকের টাকা না পেয়েই ফারজানাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।’
তবে প্রতিবেশীরা বলেছেন ফারজানা স্বামীর বাড়িতে আসার পর থেকেই পরকীয়া নিয়ে স্বামীর সঙ্গে কলহ দেখা দেয়।
নন্দীগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদ বার্তা ২৪.কমকে বলেন, ‘নিহতের গলাসহ সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে।’
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।