ফরমালিনমুক্ত ফলের খোঁজে গ্রামই ভরসা

  • হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গাছ থেকে জামরুল পাড়া হচ্ছে।  ছবি: বার্তা২৪.কম

গাছ থেকে জামরুল পাড়া হচ্ছে। ছবি: বার্তা২৪.কম

শহরের বিশাল বিশাল অট্টালিকার ভিড়ে ধ্বংস হচ্ছে বনায়ন। হারিয়ে যাচ্ছে ফলজ গাছ। তবে ব্যবসায়িক উদ্দেশে গড়ে উঠছে ফলজ গাছের বাগান। কিন্তু এসব বাগান থেকে বাজারে ফল আসতে আসতেই যুক্ত হয় বিষাক্ত কেমিক্যাল (ফরমালিন)। ফলকে দীর্ঘদিন সতেজ রাখতেই এ কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয়।

এদিকে এখনো ফরমালিনমুক্ত ফল পাওয়া যায় গ্রামের বাড়িতে। এই ভরসা থেকেই মাঝে মাঝে ছুটতে হয় গ্রামে।

বিজ্ঞাপন

সৃষ্টির শুরু থেকেই ফল মানুষের প্রিয় খাবার। যুগ যুগ ধরে মানুষ বাড়ির আশপাশেই ফল গাছ রোপণ করে চাহিদা মিটিয়ে আসছে। আবার অনেকে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি ফল বাজারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছে। এ দৃশ্যটি শহরে না থাকলেও গ্রামে তা দৃশ্যমান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/14/1557811721223.gif

বিজ্ঞাপন

গ্রামের বাড়িগুলোতে এখনো আম, জামরুল, কাঁঠাল, পেয়ারা, পেঁপে ও আতাসহ নানা প্রজাতির ফলজ গাছ রোপণ করে ফলের চাহিদা মেটান গৃহস্থরা। পাশাপাশি ফল বিক্রি করে বাড়তি আয়ও হয় তাদের। তবে এসব ফল পুরোই ফরমালিনমুক্ত।

এখনো গ্রামের বাজারগুলোতে গৃহস্থদের ফল বিক্রি করতে দেখা যায়। আর তা অনেকটা সস্তা দামেও পাওয়া যায়। আবার গাছ থেকে পাড়া গেলেতো আরও আনন্দের বিষয়।

অন্যদিকে শহরের বাজারের ফলগুলো বিষাক্ত কেমিক্যালে ভরা। স্বাদও কম, আবার ক্ষতিকর। কিন্তু গ্রামের ফলগুলো খেতে খুবই সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর। তাই ফরমালিনমুক্ত ফলের খোঁজে গ্রামই ভরসা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/14/1557811753869.gif

জেলার কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আবদুস শহীদ বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে আম, কাঁঠাল, পেঁপে ও জামরুলের কয়েকটি গাছ আছে। এবার তিনটি গাছে জামরুল ভালোই ধরেছে। আম-কাঁঠাল কম হয়েছে। এতে নিজেদের চাহিদা মিটে। এছাড়া আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের দিয়ে থাকি৷ অনেকে ফল বাজারে বিক্রি করলেও আমরা করি না।’

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সমসেরাবাদ এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন জানান, তার ঘরের সামনে একটি জামরুল গাছ আছে। এবার গাছ ভর্তি ফল ধরেছে।