কোম্পানীগঞ্জে ৪ কোটি টাকার সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের জেলা মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে বাংলাবাজার থেকে ছোটধলী পর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ মিটার রাস্তা পাকাকরণ কাজে নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
কাজে নানা অনিয়ম চললেও কার্যপ্রদানকারী বিভাগ এ বিষয়ে নির্বাক ভূমিকা পালন করছে। আবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিয়মিত মনিটরিং না করায় কাজ বাস্তবায়নে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারে স্থানীয়রা অভিযোগ করলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বলছে, নিয়ম মেনেই কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আর সংশ্লিষ্ট দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাফাই গাইছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে।
স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, ‘রাস্তার সিলকোট হয়েছে নিম্নমানের। ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের বিটুমিন।’
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে সিলকোটের (পিচের) কাজ করার ১ ঘণ্টা পর নিম্নমানের পিচগুলো হাত দিয়ে তুলে ফেলে এলাকাবাসী। পরে এলাকাবাসীর অভিযোগের মুখে ঠিকাদারের লোকজন পুনরায় পিচ ঢালাই করে। তবে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণে সড়কের স্থায়িত্ব নিয়ে বেজায় শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর প্রশ্ন, নতুন সড়কের এখনই যদি এ অবস্থা হয় তাহলে সামনের বর্ষায় কি অবস্থা হবে। এতসব অনিয়মের পরও সড়ক ও জনপথ বিভাগের নীরবতায় এলাকাবাসী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে কাজটি বাস্তবায়নের আশা প্রকাশ করেন।
নোয়াখালী সওজ’র কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ১ হাজার ৫০০ মিটার সড়কের এ কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাজু এন্টারপ্রাইজ।
মেসার্স রাজু এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. ছিদ্দিক উল্যাহর ফোনে যোগাযোগ করে হলে তিনি জানান, তিনি ৮০ ভাগ মানসম্পন্ন কাজ করেছেন। নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়টি তিনি নাকচ করে দেন।
এ বিষয়ে নোয়াখালী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বিনয় কুমার পাল’র ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঠিকাদার সড়ক নির্মাণে নিন্মমানের কাজ করলে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা মানসম্পন্ন কাজ বুঝে নেব।