বেনাপোলে স্বামী হত্যার অভিযোগে স্ত্রীসহ আটক ৩
যশোরের বেনাপোল সীমান্তে যুবক হত্যার অভিযোগে তার স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের নাম জামাল হোসেন (৩৫)। সম্পত্তির ভাগাভাগি ও স্ত্রীর পরকিয়ার জেরে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার (১৫ মে) ভোরে পোর্টথানা পুলিশ তাদের আটক করে। এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ১টার দিকে জামালকে হত্যা করা হয়। নিহত জামাল বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ধান্য খোলা গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে।
আটককৃতরা হলেন- জামালের স্ত্রী আয়েশা খাতুন, শ্বশুর রিয়াজুল ইসলাম টুকু ও শাশুড়ি ফুলবুড়ি।
জামালের ভাই রাশেদুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেয়, ১০ বছর আগে জামালের সাথে প্রতিবেশী আয়েশার বিয়ে। সংসারে সচ্ছলতা আনতে জামাল মালয়েশিয়া যান। সেখানে অর্জিত অর্থ সব শ্বশুর বাড়িতে পাঠাতেন। তিনি তিনবার বাড়িতে এসেছেন। কিন্তু স্ত্রীর পরকিয়ার কারণে তাদের সম্পর্ক ভালো ছিল না। একবার জামালকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। মঙ্গলবার জামাল বিদেশ থেকে বাড়ি ফেরেন। পরে তিনি বিদেশ থেকে আনা উপহার সামগ্রী নিয়ে শ্বশুর বাড়ি যান। হঠাৎ রাত ৩টার দিকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন চিৎকার করে- ‘রোহিঙ্গারা জামালকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়েছে।’ এ সময় ওই বাড়িতে গিয়ে ঘরের সিঁড়িতে জামালের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান জামালের বাড়ির লোকজন। পরে তারা ধারণা করেন- স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে জামালকে খুন করেছে।
বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনজুয়ারা বেগম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘যে দিন বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরলো সেদিনই জামালকে হত্যা করলো! এটা দুঃখজনক। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার।’
বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আলমগীর হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রীর পরকিয়ার কারণে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকারী সন্দেহে স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় আর কারা জড়িত থাকতে পারে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।