ফেরিতে খাবারের বাড়তি দাম, বিরক্ত ক্রেতা
দীর্ঘদিন ধরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলাচলরত ফেরিগুলোতে খাবারসহ বিভিন্ন পণ্য অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। ফেরির যাত্রীদেরকে জিম্মি করে ক্যানটিন মালিকরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ কাজটি করছে। তবে বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই।
অভিযোগ রয়েছে, ফেরির ক্যানটিনগুলোর মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় তারা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হলেও তা আলোর মুখ দেখছে না। বরং অভিযান শেষ হলে তারা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ফলে প্রতিনিয়তই প্রতারণার শিকার হচ্ছে ফেরির যাত্রীরা। অধিক মূল্যেই তাদের পণ্য ক্রয় করতে হচ্ছে।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে বরিশালগামী যাত্রী সুমন জানান, ফেরিতে সব সময়ই অতিরিক্ত দাম দিয়ে খাবার কিনে খেতে হয়। বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই। তাই বিরক্ত হওয়া ছাড়া কী আর করার আছে?’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফেরির ক্যানটিন ম্যানেজার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ফেরির মধ্যে ছোট একটি চায়ের দোকানকে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়। এছাড়া প্রতিদিন এখানে অন্যান্য খরচ রয়েছে। এতো টাকা আমরা কীভাবে জোগাড় করব। তাই বাধ্য হয়েই আমরা যাত্রীদের কাছ থেকে পণ্যের গায়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৫ টাকা করে বেশি নিচ্ছি।’
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, ফেরির মধ্যে দোকানের ভাড়া যতই হোক এর জন্য ভোক্তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না। সবার আগে ভোক্তাদের অধিকার দেখতে হবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতে কাজ না হলে আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের সর্বোচ্চ ধারা প্রয়োগ করতে বাধ্য হব।’