ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার কাগইল ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ও তার দুই সহযোগী।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ফাঁসানোর ঘটনা ফাঁস হলে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আগানিহাল বিন জলিল তপন ও তার দুই সহযোগী সুলতান ও সুজনকে।
বুধবার (১৫মে) রাত ১০টায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কাগইল ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক সাজেদুর রহমান শামিম বার্তা ২৪.কমকে বলেন, 'মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল তার বাড়িতে যায়। এরপর ডিবি পুলিশ তার মোটর সাইকেলের মিটার বক্স থেকে ৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। ইয়াবা উদ্ধারের পর ঘটনাটি সন্দেহজনক মনে হলেও ডিবি পুলিশের দল ইয়াবা নিয়ে ফিরে আসে।'
পরদিন বুধবার ডিবি পুলিশ ইয়াবা সংক্রান্ত তথ্যদাতা সুলতান ও সুজনকে কৌশলে আটক করে। পরে তাদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্বীকার করে বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান তপন তাদেরকে টাকা দিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান শামিমের মোটর সাইকেলে ইয়াবা রেখে দেয়।পরে তারাই ডিবি পুলিশকে ইয়াবা সংক্রান্ত তথ্য দেয়।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামীম আরো জানান, ইউপি চেয়ারম্যান তপনের নামে ১০-১২টি মামলা থাকায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় থেকে গত ১৯ মার্চ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
হাইকোর্ট গত ১৫ এপ্রিল তার বরখাস্ত আদেশ স্থগিত করে চেয়ারম্যান পদে বহাল করে। কিন্তু চেয়ারম্যান তপন ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশ করতে পারতেন না।
সেই ক্ষোভ থেকেই মঙ্গলবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদে রাখা মোটর সাইকেলের মিটার বক্সে কৌশলে ৫০ পিস ইয়াবা রেখে দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়।
বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম আলী বার্তা ২৪.কমকে বলেন, 'গ্রেফতারকৃত সুলতান ও সুজন পুলিশের কাছে স্বীকার করে যে, চেয়ারম্যান তপনের পরিকল্পনায় তারা শামিমের মোটর সাইকেলে কৌশলে ইয়াবা রেখে দেয়। এর বিনিময়ে তপন তাদেরকে ইয়াবা কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা এবং পরে আরো ১২ হাজার টাকা দেয়।'
গ্রেফতারকৃত তিনজনের নামে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানান।