রমজানে দেশি মুরগির চাহিদা বেশি
দেশি জাতের মুরগির চাহিদা সবারই থাকে। আজকাল ব্রয়লার বা পোল্ট্রি মুরগি ছাড়া দেশি মুরগি তেমন একটা পাওয়া যায় না। তার উপর দেশি মুরগির দামও বেশি।
এক সময় গ্রামাঞ্চলে গৃহিনীরা মুরগি পালন করতো। এখন আর তেমন একটা দেখা যায় না। তবুও কিছুটা গ্রাম্য এলাকায় তারা দেশি জাতের মুরগি পালন করে থাকেন। তাও খুব কম সংখ্যক।
বর্তমান বাজারে পোল্ট্রির মুরগির পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে গ্রামাঞ্চলে পালিত দেশি জাতের মুরগি। এসব মুরগি কিনছেন মধ্যবিত্ত ও বিত্তবান লোকেরা।
এমন চিত্র দেখা যায়, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল পৌর শহরের স্টেশন রোডের পাশে। সেখানে কয়েকজন লোক দেশি জাতের মুরগি সামনে সাজিয়ে বসে রয়েছেন। তারা জানায়, এসব মুরগি গ্রাম থেকে আনা হয়েছে। কেউ কেউ বাড়িতে পালন করা মুরগি নিয়ে এসেছেন বিক্রি জন্য। তারা বলেন, ঈদকে সামনে রেখে ঈদের কেনা কাটা সারতে এসব মুরগি বিক্রির জন্য তারা শহরে এসেছেন।
মুরগি বিক্রেতা মো: আলতাব হোসেন বলেন, উপজেলার উত্তর উত্তরসুর এলাকা থেকে ৮/১০ টি দেশি মুরগি নিয়ে এসেছেন শহরে বিক্রি করার জন্য।
তিনি জানান, কেজিতে নিলে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। আর একটি মুরগি নিলে দাম পড়বে ৩০০-৪০০ টাকা।
বিক্রেতা জোনায়েদ জানান, লালবাগ এলাকা থেকে ৩ জাতের দেশি মুরগি নিয়ে এসেছেন বিক্রি করতে। কক মুরগি, সোনালী ও হাইব্রিড জাতের মুরগি। এসব মুরগি ২২০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
দেশি জাতের মুরগি কিনতে আসা সোয়াইব আহমেদ জানান, পোল্ট্রি মুরগির চেয়ে দেশি জাতের মুরগি খেতে অনেক স্বাদ। তবে দেশি জাতের মুরগি খুব কম পাওয়া যায়। তিনি ২টি মুরগি ৪৫০ টাকা দিয়ে কিনেছেন।
আরেক মুরগি ক্রেতা নুরুল ইসলাম জানান, ব্রয়লার মুরগি খেলে তাতে শরীরের জন্য ক্ষতি হতে পারে। ডাক্তার অনেক সময় নিষেধ করেও থাকেন ব্রয়লার মুরগি না খাওয়ার জন্য। তাই আমি দেশি জাতের মুরগি কিনতে এসেছি।
পুষ্টি বিজ্ঞানীরা মতে, বাংলাদেশের গ্রাম এলাকায় কম বেশি এখনও প্রতিটি পরিবার দেশি মুরগি পালন করে। এদের উৎপাদন ক্ষমতা বিদেশি মুরগির চেয়ে কম। উৎপাদন ব্যয়ও অতি নগণ্য। এটি অধিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। এদের মাংস ও ডিমের মূল্য বিদেশি মুরগীর তুলনায় দ্বিগুণ, এর চাহিদাও খুবই বেশী।