পুত্রবধূর হাতে শাশুড়ি খুন
পারিবারিক বিরোধে শাশুড়ি রোজী খাতুনকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুত্রবধূ রুকাইয়া খাতুন (২২) এর বিরুদ্ধে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুত্রবধূকে আটক করেছে।
শনিবার (১৮ মে) ইফতারের পর পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রোজী খাতুন মৃত আমিন উদ্দিনের স্ত্রী। দুই সন্তানের জননী।
নিহতের স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানান, রোজী খাতুন একজন নিরীহ স্বভাবের মানুষ। কারও সাথে কোনো সময় উচ্চস্বরে কথাও বলেননি। কিন্তু একমাত্র ছেলেকে বিয়ে দেয়ার পর থেকেই রুকাইয়া শাশুড়িকে মেনে নিতে পারছিলেন না। মাঝে মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় রুকাইয়ার বাপের বাড়ি থেকে কয়েকজন লোক তার শ্বশুড়বাড়িতে আসে। এ সময় তার স্বামী রনজু বাড়িতে ছিলেন না। হঠাৎ ওই বাড়ি থেকে চিৎকারের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা দেখেন রোজী খাতুন আহতাবস্থায় ঘরের মধ্যে পড়ে আছেন। তার শরীর থেকে প্রচুর রক্ত বের হচ্ছে। খবর পেয়ে স্বজনরা দ্রুত উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক রোজী খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, রোজী খাতুন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে দাবি করেন পুত্রবধূ।
প্রতিবেশীদের দাবি, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলে প্রচুর রক্ত বেরোনোর কথাই না। পাশাপাশি গলার নীচ থেকে কয়েক স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাদের অভিযোগ পরিকল্পিতভাবেই এই হত্যা করা হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আসাদুজ্জামান শনিবার রাত ন’টায় জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলায় দাগ আছে। তবে হত্যা না আত্মহত্যা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুত্রবধূ রুকাইয়াকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি সঠিক কারণ জানা যাবে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ওসি তদন্ত আসাদুজ্জামান।