অপহরণের পর আ.লীগ কর্মীকে হত্যা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নিহত ক্যচিং থোয়াই মারমার লাশ। ছবি: বার্তা২৪.কম

নিহত ক্যচিং থোয়াই মারমার লাশ। ছবি: বার্তা২৪.কম

বান্দরবানের রাজবিলায় অপহরণের পর আওয়ামী লীগের কর্মী ক্যচিং থোয়াই মারমাকে (২৮) গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহ‌ত ক্যচিং থোয়াই মারমা রাজবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন। তিনি তাউ থোয়াই মারমার ছেলে এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইম্রা অং মারমার ছোটভাই।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা জানায়, বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের ৪ নাম্বার রাবার বাগান এলাকায় নিজবাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে ক্যচিং থোয়াই মারমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। অপহরণের পর কিছুদূর নিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী ৫নং রাবার এলাকায় অপহৃতকে গুলি করে হত্যা করে তারা। সকালে রাবার বাগানে কাজ করতে গিয়ে কর্মীরা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশ খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত আওয়ামী লীগ কর্মীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে।

রাজবিলা ইউপি চেয়ারম্যান ক্যঅংপ্রু মারমা জানান, ক্যচিং থোয়াই আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন। তার ভাই সাইম্রা অং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

এদিকে ক্যচিং থোয়াই হত্যার জন্য জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করেছে আওয়ামী লীগ নেতারা। তবে জেএসএস জেলা সভাপতি উছোমং মারমা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

বিজ্ঞাপন

অপরদিকে রাজবিলা রাবার বাগান এলাকায় একের পর এক অপহরণ, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) এনামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘অপহরণের পর একজনকে গুলি করে হত্যার খবর পেয়েছি। শুনেছি নিহত ব্যক্তি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত সেটি এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।’

প্রসঙ্গত, গত ৯ মে রাবার বাগান এলাকায় সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির সমর্থক জয়মনি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। এর দুদিন আগে ৭ মে সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির সহযোগী সংগঠন যুব পরিষদের কর্মী বিনয় তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে এবং পুরাধন তঞ্চঙ্গা নামের আরেকজন কর্মীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহৃতের এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।