গোপালগঞ্জে এসিআই'র ১২৬ কেজি ভেজাল লবণ ধ্বংস
আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের 'নিষিদ্ধ' ৫২ ভেজাল পণ্য বিক্রি করছে গোপালগঞ্জের দোকানিরা। এখন পর্যন্ত এসব পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার করেনি প্রতিষ্ঠানগুলো।
আদালতের নির্দেশ অমান্য করে দোকানগুলোতে এসব পণ্য বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। অভিযানে এসিআই-এর ১২৬ কেজি লবণ জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া পাঁচটি মুদি দোকানের জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) জেলা শহরের বড় বাজারের বিভিন্ন মুদি দোকানে অভিযান চালিয়ে প্রত্যাহারকৃত ওইসব পণ্য বিক্রির দায়ে এসব জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রাণ-এসিআইসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২ ভেজাল পণ্য প্রত্যাহারের নির্দেশ
গোপালগঞ্জের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শামীম হাসান জানান, জেলার বিভিন্ন বাজারে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ৫২টি ভেজাল পণ্য বিক্রি হচ্ছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় প্রহ্যাহারকৃত এসিআই ব্যান্ডের লবণ বিক্রির দায়ে মেসার্স রিয়া স্টোরকে পাঁচ হাজার, মেসার্স সালমান স্টোরকে পাঁচ হাজার, মেসার্স জামান ট্রেডার্সকে দুই হাজার, মেসার্স অরুণ টেলিকমকে দুই হাজার এবং মেসার্স জিল্লাল এন্টারপ্রাইজকে এক হাজার টাকাসহ মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে ওইসব দোকান থেকে প্রত্যাহারকৃত এসিআই ব্যান্ডের ১২৬ কেজি লবণ জব্দ করে ধ্বংস করা হয় বলেও জানান তিনি।
এ অভিযান চলাকালে জেলা বাজার কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন, ক্যাব, গোপালগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোজাহারুল হক বাবলু উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে বিভিন্ন নামিদামি প্রতিষ্ঠানের ৫২ ভেজাল পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ১০ দিনের মধ্যে এসব পণ্য প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। আদালত বলছেন, এসব পণ্য নষ্ট করে ফেলতে হবে যাতে তৃতীয় কারও হাতে না যায়।
এদিকে গত ১৫ মে এসিআই এর লবণসহ ১৮ ব্যান্ডের পণ্যের উৎপাদন স্থগিত ঘোষণা করেছে জাতীয় মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।
আরও পড়ুন: ৭ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল, ১৮ পণ্যের উৎপাদন স্থগিত