৩৬০০ টাকার জামা হয়ে গেল ১৬০০ টাকা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, রাজবাড়ী, বার্তা ২৪ কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীতে কাপড়ের দোকোনে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত, ছবি: বার্তা২৪

রাজবাড়ীতে কাপড়ের দোকোনে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত, ছবি: বার্তা২৪

রাজবাড়ীতে ঈদের কেনাকাটা করছিলেন তিন নারী। তারা তিনটি জামা পছন্দ করলে দোকানদার এর দাম হাকেন তিন হাজার ৬০০ টাকা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে চলছিল দরকষাকষি। ঠিক এমন সময় দোকানে উপস্থিত হন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখে দোকানী জামার দাম চান এক হাজার ৬০০ টাকা। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনেই এ দাম দিয়ে জামা কিনে নেন ওই তিনি নারী। কম দামে জামা কিনতে পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে অভিনন্দন জানান তারা।

বিজ্ঞাপন

ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি বাজারে। এ সময় মূল্য তালিকা না টাঙানো এবং পণ্যের ভাউচার দেখাতে না পারায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে যৌথভাবে তা আদায় করে স্থানীয় প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

মঙ্গলবার (২১ মে) বেলা ২টায় বালিয়াকান্দি বাজারের রুপের হাট, শীতল ফ্যাশন ও ঘোমটা বস্ত্রালয়ে পৃথক অভিযান চালানো হয়।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/21/1558436216005.jpgভ্রাম্যমাণ আদালতটি পরিচালনা করেন বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: মাসুম রেজা এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজবাড়ী কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম। 

এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম রেজা ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্তা ২৪.কমকে জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বালিয়াকান্দি বাজারের কিছু ব্যবসায়ী পণ্যের অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন। এরই প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা করে মোট ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য শীতল ফ্যাশনে প্রবেশ করলে দোকানের ভেতরে থাকা কয়েকজন নারী ক্রেতা জানান, তিনি আসার আগে তাদের কাছে যে জামা ৩৬০০ টাকা চেয়েছিল দোকানী। সেটি এখন ১৬০০ টাকা চাচ্ছে। পরে আমার উপস্থিতিতেই তারা ১ হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে জামাগুলো কিনেছেন।