১৬ তালা ঝুলছে বগুড়া জেলা বিএনপির কার্যালয়ে
বগুড়ায় বিএনপিতে বিদ্রোহ ঠেকাতে চলছে একের পর এক কমিটি বাতিল ও বহিষ্কার। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা কমিটি বিলুপ্তের পর বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় জেলা যুবদলের কমিটি বাতিল করা হয়।
এর আগে বহিষ্কার করা হয়েছে কমপক্ষে ১৫ নেতাকে। এতকিছুর পরেও জেলা বিএনপি কার্যালয় দখলে নিতে পারছে না সদ্য ঘোষিত আহবায়ক কমিটি। বিদ্রোহীদের একের পর এক তালা আর শিকলে জর্জরিত জেলা বিএনপির কার্যালয়।দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারছেন না কোনো পক্ষই। প্রতিদিনই কোনো এক পক্ষ কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে যাচ্ছে। এভাবে একে একে ১৬টি তালা ঝুলছে দলীয় কার্যালয়ে। সেইসাথে শিকলও রয়েছে অসংখ্য।
সর্বশেষ বুধবার রাতে সাবেক সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামের বাসভবনে হামলার পর পুলিশ কঠোর হয়েছে। সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত কোনো পক্ষকেই দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশে নিষেধ করেছে। বুধবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির পর দুই পক্ষকেই দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ নিষেধ করে পুলিশ। এদিকে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে আহবায়ক কমিটি বিরোধীরা বৃহস্পতিবার দুপুরে আবারো দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে। এবার তারা আহবায়ক কমিটি বাতিলের পাশাপাশি দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবী করেছে। তবে পুলিশ মিছিলে বাধা দেওয়ায় বেশিদূর এগোতে পারেনি তারা। আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ নিয়মিত দলীয় কার্যালয়ে আসার ঘোষণা দিলেও তারা কেউ নিয়মিত কার্যালয়ে আসছেন না।
এদিকে বুধবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সমঝোতা বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বৈঠক ভেস্তে গেছে।
বিএনপির বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা বগুড়া পৌরসভার কাউন্সিলর পরিমল চন্দ্র দাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ বুধবার রাতে বিরুপ আবহাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে আলোচনায় বসেনি। এ কারণে আমরা প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছি। তিনি বলেন, সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দকে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
জেলা বিএনপি যুগ্ম-আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, সমঝোতা বৈঠকের আগেই ছাত্রদল নেতা সৌরভকে মারধর করে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এ কারণে আমরা সমঝোতা বৈঠকে বসতে রাজী না। দলীয় কার্যালয়ে নিয়মিত না বসার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা এখন নির্বাচনমুখী, এ কারণে নিয়মিত দলীয় কার্যালয়ে যাওয়া হচ্ছে না।
বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, নিজের মধ্যে বিরোধ সহিংসতায় রুপ নিচ্ছে। এ কারণে পুলিশও কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করা নিয়ে সহিংসতা ঠেকাতে পুলিশ সব ধরণের পদক্ষেপ নেবে।