৩ ঘণ্টার ভারী বর্ষণে হবিগঞ্জে জলাবদ্ধতা
মাত্র তিন ঘণ্টার ভারী বর্ষণে হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।
শুক্রবার (২৪ মে) ভোর রাতে হবিগঞ্জ শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় তিন ঘণ্টার টানা বর্ষণ হয়। এতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় কাদা জমে যায়। এছাড়া শহরের নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন পৌর নগরবাসী। তবে শুক্রবার স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ভোগান্তির পরিমাণ কিছুটা কম হয়েছে।
শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শায়েস্তানগর, ইনাতাবাদ, চৌধুরীবাজার, সার্কিট হাউজ রোড, নোয়াহাটি, পুলিশ সুপারের বাস ভবন, বগলবাজার, উত্তর শ্যামলী, নোয়াবাদ, মোহনপুর, শ্যামলী, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও বাস ভবন, পুরাতন হাসপাতাল সড়ক, কালিগাছ তলাসহ বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিক হাটু পরিমাণ পানি জমে যায়। ফলে মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। অনেক বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানা গেছে।
পৌরবাসীর অভিযোগ, পানিনিষ্কাশনের সুব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বছরের পর বছর পৌরবাসী জলাবদ্ধতার সঙ্গে যুদ্ধ করে আসলেও সমস্যা সমাধানে উদাসীন পৌর কর্তৃপক্ষ।
শায়েস্তানগর এলাকার পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী চাচ্চু মিয়া জানান, শায়েস্তানগর এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে এলাকাবসীকে সিমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। অথচ পৌর কর্তৃপক্ষ এই দুর্ভোগ নিরসনে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।
জলাবদ্ধতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দা শাহ্ আলম বলেন, ‘শহরের জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য অনেক টাকা খরচ করে নর্দমা নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও জলাবদ্ধতার হাত থেকে আমরা রক্ষা পাচ্ছি না।’
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র দীলিপ দাসের মোবাইল ফোনে কয়েকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।