যমুনার চরাঞ্চলে ভুট্টার বাম্পার ফলন
যমুনা নদীর চরাঞ্চলে ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। বাম্পার ফলনের পাশাপাশি দাম ভালো পাওয়ায় এবং ধানের দাম কম থাকায় ভুট্টা চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। ফলে অনেক এলাকায় ধান চাষের পরিবর্তে ভুট্টা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন কৃষকরা।
বগুড়া জেলার পূর্বাঞ্চল সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর চরগুলোতে ভুট্টার চাষ সবচেয়ে বেশি হয়েছে। চরাঞ্চলে ফলনও হয়েছে বাম্পার। শুধুমাত্র সারিয়াকান্দি উপজেলার চরাঞ্চলেই দুই হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে।
চরাঞ্চলের ভুট্টা চাষি আব্দুস সামাদ ও খয়বর আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর চরে বছরের পর বছর অনেক জমি পতিত পড়ে থাকে। এসব পতিত জমিতে বালুর পরিমাণ বেশি থাকায় অন্য ফসল তেমন ভাল হয় না। এ কারণে তারা কয়েক বছর ধরে ওইসব পতিত জমিতে ভুট্টা চাষ করে ভাল ফলন পাচ্ছেন।
চাষিরা জানান পার্শ্ববর্তী ধুনট উপজেলায় আরও বেশি পরিমাণ জমিতে ভুট্টা চাষ হয়ে থাকে।
সারিয়াকান্দি উপজেলার শিমুলতাইড় চরের কৃষক মকবুল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘তিনি এবার প্রায় ৩বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছিলেন। বাম্পার ফলন হওয়ায় প্রায় ২ লক্ষ টাকার ভুট্টা বিক্রি করেছেন। চরদলিকা চরের মাহফুজার রহমান ডাবলু ৯ বিঘা জমিতে এ বছর ভুট্টা চাষ করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বিঘায় ভুট্টা চাষ ও কাটা মাড়াই করতে মোট খরচ হয়েছে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ফলন হয়েছে গড়ে ৩৫ মন। বগুড়ার বাজার গুলোতে প্রতি মন ভুট্টা ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে বিক্রয় হয়।
বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ‘ভুট্টা বছরে দুইবার চাষ করা যায়। রবি ও খরিপ মৌসুমে ভুট্টা চাষ হয়ে থাকে। গত তিন বছর ধরে বগুড়ায় ভুট্টার চাষ বাড়তে শুরু করেছে। ২০১৬-১৭ মৌসুমে বগুড়া জেলায় ১০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়। এরপর থেকে ভুট্টা চাষ বাড়ছে। মাঝে এক বছর ভুট্টার জমিতে আউশের চাষ হওয়ায় কিছুটা কমলেও চলতি খরিপ মৌসুম থেকে আবারও ভুট্টা চাষ বাড়তে শুরু করেছে। চলতি খরিপ মৌসুমে এপর্যন্ত ৪ হাজার ৬১৮ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে।