মহাসড়ক মেরামত হলেও দুর্ভোগের আশঙ্কা জেলা সড়কে
আসন্ন ঈদে মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ কম হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হবে। কারণ সড়ক ও জনপথ বিভাগ মহাসড়কের ওপর গুরুত্ব দিলেও অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা।
জানা গেছে, বগুড়া সড়ক ও জনপথেরর অধীনে ৫৭২ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এরমধ্যে জাতীয় মহাসড়ক ১৩০ কিলোমিটার, আঞ্চলিক সহাসড়ক ৬১ কিলোমিটার এবং জেলা সড়ক ৩৮১ কিলোমটার। ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কের খানাখন্দ মেরামত করা হলেও দীর্ঘদিন ধরে ৩৮১ কিলোমিটার জেলা সড়কের অধিকাংশই চলাচলের অযোগ্য হয়ে আছে।
জাতীয় মহাসড়কে বগুড়া অংশে রংপুর-ঢাকা এবং বগুড়া-নাটোর মহাসড়ক অংশে ১৩০ কিলোমিটার খানাখন্দ তুলনামূলক কম রয়েছে। ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের খানাখন্দ মেরামত করা হলেও বৃষ্টিতে রূপ নিচ্ছে আগের মতো। তারপরও ঈদে মানুষের দুর্ভোগ কম হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন যাত্রী ও ছালকরা।
আঞ্চলিক মহাসড়কের মধ্যে বগুড়া-নওগাঁ মহসড়কে উন্নয়ন কাজ চলায় গত একবছর এই সড়কে মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। তবে সম্প্রতি কাজে গতি আসায় দুর্ভোগ কিছুটা কমেছে। তারপরও অনেক জায়গায় কালভার্ট নির্মাণ শেষ না হওয়ায় এবং মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে হাট-বাজার বসায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ঈদের আগে যানবাহনের চাপ বাড়লে মানুষের দুর্ভোগও বাড়বে।
অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ জেলা সড়কগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। ৩৮১ কিলোমিটার জেলা সড়কের অধিকাংশই চলাচলের অযোগ্য। জেলা শহর থেকে বিভিন্ন উপজেলায় যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এসব সড়ক। প্রতিদিন কয়েক লাখ মানুষ চলাচল করে এই রাস্তায়। আর কয়েকদিন পর শুরু হবে নাড়ীর টানে গ্রামে ফেরার পালা। ফলে এই সড়কগুলোতে মানুষ এবং যানবাহনের চাপ বাড়বে কয়েকগুণ।
জেলা সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের কয়েকজন চালক বার্তা২৪.কমকে জানান, সড়কে খানাখন্দের কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ছে এবং যানবাহনের যন্ত্রাংশ বিকল হচ্ছে। কিন্তু এখনো এসব অভ্যন্তরীণ সড়ক মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘জাতীয় মহাসড়কের অবস্থা ভালো রয়েছে, যেসব জায়গায় খানাখন্দ আছে, তা ঈদের আগেই মেরামত করা হবে। তবে বরাদ্দ না থাকায় জেলা সড়কগুলো স্থায়ীভাবে মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ঈদের আগে সাময়িকভাবে মেরামত করা হবে।’