বান্দরবানে আ'লীগ নেতা হত্যা: ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ২
বান্দরবানে আওয়ামী লীগ নেতা চথোয়াই মং মারমা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কেএসমং মারমা সহ ১৩ জন আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার দুজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আওয়ামী লীগের পৌরশাখা কমিটির সহ-সভাপতি চথোয়াই মং মারমাকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় রোববার নিহতের স্ত্রী মেসাচিং মারমা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ১৩ জন শীর্ষ নেতাসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএসমং মারমা, জেলা জেএসএস সভাপতি উছোমং মারমা, সাধারণ সম্পাদক ক্যবামং মারমা, জেএসএস নেতা উছোসিং, পাইনু মং মারমা, চসাথোয়াই মারমা, অংশৈ মং, অংথোয়াই চিং, বাচিংমং মারমা, খ্যইপাই মারমা, রাংথনসান বম, নিত্যলাল চাকমা, সুজন চাকমা।
এ ঘটনায় আটক জেএসএস নেতা কেএসমং এবং ক্যবামং মারমাকে আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বাদী মেসাচিং মারমা বলেন, 'আমার স্বামীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। সদর থানায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।'
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, নিহতের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় আটক দুজনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।