হবিগঞ্জে চা শ্রমিক অসন্তোষ, বাগান বন্ধ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক ফখরুল ইসলাম ফরিদীর অপসারনের দাবিতে শ্রমিকদের তিনদিনের ধর্মঘট চলছে। সোমবার (২৭ মে) এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হলেও কোনো সমাধান হয়নি।

পরে, শ্রমিকদের এই দাবি বেআইনি আখ্যায়িত করে বাগান বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যায় বাগানের ডিজিএম রিয়াজ উদ্দিন চিঠি ইস্যু করে বাগান বন্ধের ঘোষণা দেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বাগান ব্যবস্থাপক ফখরুল ইসলাম ফরিদীর অপসারণের দাবি করে শ্রমিকরা কর্মকবিরতিতে যান; যা শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা মতে সম্পূর্ণ বেআইনি। তাই বাধ্য হয়ে চা বাগান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

শ্রমিকদের সাথে আলোচনায় অংশ নেন- শ্রীমঙ্গল শ্রম অধিদফতরের উপ-পরিচালক নাহিদুল ইসলাম, হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মাধবপুর সার্কেল) এসএম রাজু আহমেদ, লস্করপুর ভ্যালি চা শ্রমিক সভাপতি রবীন্দ্র গৌড় প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে শ্রমিকরা দাবি করেন, ব্যবস্থাপক ফখরুল ইসলাম ফরিদী নিঃশর্তে বাগান ছেড়ে চলে যেতে হবে। তবে ব্যবস্থাপক ফখরুল ইসলাম ফরিদীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ তারা দেখাতে পারেননি। শ্রমিকদের এ দাবি বাগান কর্তৃপক্ষ মেনে না নেওয়ায় শ্রমিকরা বৈঠক ত্যাগ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

এ ব্যাপারে লস্করপুর ভ্যালি সভাপতি রবিন্দ্র গৌড় বলেন, ‘শ্রমিকদের একটাই দাবি, ব্যবস্থাপক না যাওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মবিরতি চলবে।’

শ্রীমঙ্গল শ্রম উপ-পরিচালক নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এটি কোনো বড় সমস্যা ছিল না। তবে শ্রমিক ও মালিক পক্ষ যার যার অবস্থানে অনড় থাকায় সমস্যাটি সমাধান হয়নি। এখন বাগান ও শ্রমিক আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়বে। বাগান বন্ধ ঘোষণা করায় আগামী সপ্তাহে শ্রমিকরা রেশন পাবেন না।’

উল্লেখ্য, গত শনিবার (২৫ মে) সকালে চা বাগান শ্রমিকদের সাথে বাগান ব্যবস্থাপক ফখরুল ইসলাম ফরিদী ও চা শ্রমিকদের ৩৫ দফা দাবি নিয়ে দর কষাকষি হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় ব্যবস্থাপকের অপসারণ চেয়ে কর্মবিরতির ডাক দেন শ্রমিকরা। তিন দিনের কর্মবিরতিতে চা বাগানের ভরা মৌসুমে প্রায় ১৫ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।