ভুল চিকিৎসা: সন্তান প্রসবের ৮ ঘণ্টা পর মায়ের মৃত্যু

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মায়ের মৃত্যুতে হাসপাতালের সামনে স্বজনদের বিক্ষোভ/ ছবি: বার্তা২৪.কম

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মায়ের মৃত্যুতে হাসপাতালের সামনে স্বজনদের বিক্ষোভ/ ছবি: বার্তা২৪.কম

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের রয়েল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের আট ঘণ্টা পর প্রসূতি মা রুবি আক্তারের (২৮) মৃত্যু হয়েছে। তবে নবজাতক শিশুটি সুস্থ রয়েছে।

রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় প্রচুর রক্তক্ষরণে রুবির মৃত্যু হয়েছে। আট ব্যাগ রক্ত দিয়েও তাকে বাঁচানো যায়নি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে হাসপাতাল ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন রোগীর স্বজনরা। পরে খবর পেয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/28/1559052362226.jpg

বিজ্ঞাপন

এর আগে রাত ৪টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান রুবি। তিনি সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বটতলী গ্রামের নুরুল ইসলামের স্ত্রী।

রোগীর স্বজনরা জানান, প্রসব বেদনা উঠলে সোমবার (২৭ মে) বিকালে রুবিকে রয়েল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে নোয়াখালীর চৌমুহনী থেকে মঞ্জুরুল ইসলাম ও শাহিন নামে দু’জন চিকিৎসক আসেন। পরে সিজারের মাধ্যমে ৮টার দিকে রুবি একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেন।

এ সময় চিকিৎসকরা তার রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে পারেননি। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রুবিকে কুমিল্লার টাওয়ার হসপিটালে পাঠানো হয়। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

ঢাকায় নেওয়ার পথে ভোর রাত ৪টার দিকে রুবির মৃত্যু হয়। এদিকে সিজারের পর থেকে রোগীকে আট ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

জানতে চাইলে রয়েল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ‘অপারেশনের পর রোগীর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এ সময় তাকে কয়েক ব্যাগ রক্তও দেওয়া হয়। পরে তাকে কুমিল্লা টাওয়ার হসপিটালে পাঠালে সেখানে অপারেশন করলে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়। রোগীকে দুই-একদিন সেখানে ভর্তি রাখতে বলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু স্বজনরা জোর করে ঢাকা পিজি হাসপাতালে নেওয়ার পথে রোগী মারা যান।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/28/1559052388357.jpg

লাইসেন্স সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের লাইসেন্সের জন্য সকল কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে লাইসেন্স দেওয়া শুরু হলে আমাদের হাসপাতালও অন্তর্ভুক্ত হবে।’

চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। রোগীর স্বজনদের শান্ত করে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’