চুয়াডাঙ্গায় অসময়ের তরমুজ চাষে লাভবান চাষিরা
তরমুজ নামের রসালো এই ফলের নাম মুখে আসলেই যেন মন জুড়িয়ে যায়। কম লোকই আছেন যারা তরমুজ খেতে পছন্দ করেন না। এখন চলছে দেশজুড়ে পবিত্র রমজান মাস। রমজানের এই মাসে চুয়াডাঙ্গা শহরসহ আশপাশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ। তীব্র গরমে ইফতারে রোজাদার ব্যক্তিরা নানা খাবারের মাঝে অসময়ের এই আলাদা জাতের তরমুজ পেয়ে খুশি। তাদের মতে দাম একটু বেশি হলেও সারাদিন রোজা রেখে রসালো এই ফলের স্বাদ নিতে ভালোই লাগে।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ দিন দিন বেড়েই চলেছে। স্বল্প সময়ে একটু পরিশ্রম আর পরিচর্যায় অধিক লাভজনক হওয়ায় এই চাষের দিকে ঝুঁকেছেন গ্রামের অনেক কৃষক। রমজান মাসকে পুঁজি করে অনেকে তার নিজের জমিতে আগাম এই রসালো ফলের চাষ করে এরই মধ্যে বিক্রি করা শুরু করেছেন।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুসারে গত বছর উপজেলায় ৩৬ হেক্টর জমিতে কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছিলেন। এবছর ৪৫ হেক্টর জমিতে রসালো এই ফলের চাষ করা হয়েছে। যা গত মৌসুমের থেকে প্রায় ১০ হেক্টর বেশি। দামুড়হুদা উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম যেমন মদনা, কামারপাড়া, বাড়াদী, নতিপোতাসহ আশপাশের গ্রামগুলোর মাঠে চোখে পড়বে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করছেন কৃষকেরা।
নতিপোতা গ্রামের কৃষক সবের মন্ডল জানান, রমজান মাসকে সামনে রেখেই কিছু বাড়তি টাকা লাভের আশায় তিনি গ্রীষ্মকালীন তরমুজ মাঠে চাষ করেছেন। গ্রামের মাঠে এক বিঘা জমিতে বাঁশের মাচা পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছেন তিনি আর তার ছেলে। বীজ বপন পরিচর্যা সার মাচা সেচ মিলিয়ে তার খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। মাঠে যে পরিমাণ তরমুজ আছে তাতে সে লক্ষাধিক টাকা লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।
গ্রামের আরেক কৃষক সামাদুল মিয়া জানান, এ বছর সে ১০ কাঠা জমিতে আগাম চাষ করে করেছিলেন। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবারও লাভবান হবে বলে আশা করছেন তিনি।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার শামিউর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'গ্রীষ্মকালীন তরমুজ স্বল্প সময়ে অধিক লাভজনক একটা চাষ। গ্রামের কৃষকরা স্বল্প পুঁজিতে এই চাষাবাদ করে সাফল্য পেয়েছেন। সাধারণত এই তরমুজ বছরের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে রোপণ করতে হয়। রসালো এই তরমুজ অসময়ে চাষ করা আমাদের এই অঞ্চলে নতুন হলেও বর্তমানে গ্রামের কৃষকরা এই চাষের দিকে ব্যাপক হারে ঝুঁকছেন।