বগুড়ায় পুলিশ দেখে বরের দৌড়
গভীর রাতে বাল্যবিয়ে করতে আসা বর পুলিশ দেখে নিয়ে দৌড়ে পালিয়েছেন। এ সময় বরের বাবাসহ বরযাত্রীদের এলাকাবাসী আটক করেন। পরে তাদের বাল্যবিয়ে বিরোধী স্লোগান দিতে দিতে এলাকা ছাড়া করানো হয়।
বুধবার (২৯ মে) রাত পৌনে ১২ টার দিকে বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া রুহিনী পোদ্দার লেনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কাটনার সেন্ট্রাল বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী মোসলেমা খাতুনের (১৫) বাবা মোখলেছার প্রামানিক বুধবার রাতে বাড়িতে মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেন। প্রতিবেশীদের বলা হয় ছেলেপক্ষ মেয়ে দেখতে আসবে।
রাত ১০টার পর বর এবং বরযাত্রীরা মেয়ের বাড়িতে আসেন। খাওয়া দাওয়া শেষে প্রতিবেশীদের ভয়ে বিয়ের জন্য রাত গভীর হওয়ার অপেক্ষা করছিলেন সবাই। রাত সাড়ে ১১টায় বিয়ে পড়ানোর জন্য কাজী হাজির হন। এদিকে ঘরে চলছিল কনে সাজানোর কাজ।
রাত পৌনে ১২টার দিকে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর তরুন চক্রবর্তী পুলিশ নিয়ে হাজির হন বিয়ে বাড়িতে। পুলিশ দেখে বর অন্ধকারে দৌড়ে পালিয়ে যায়। কাজী সাহেব বাইসাইকেল ফেলে কৌশলে পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করেন। মেয়ের বাব- মা ও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আত্মগোপন করেন।
এলাকায় হৈ চৈ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে বরের বাবাসহ কয়েকজন বরযাত্রীকে আটক করেন। পরে তাদের দিয়ে বাল্যবিয়ে বিরোধী শ্লোগান দেয়া হয়। বাল্য বিয়ে দেব না, বাল্যবিয়ে মানি না, এই স্লোগান দিতে দিতে তারা এলাকা ত্যাগ করেন।
বগুড়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরুন কুমার চক্রবর্তী বার্তা ২৪.কমকে বলেন, বরের বাবা বৃদ্ধ মানুষ হওয়ায় তাকে পুলিশে দেয়া হয়। বর আগেই স্যান্ডেল হাতে নিয়ে দৌড়ে পালিয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি দুপঁচাচিয়া উপজেলায়।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম বার্তা ২৪.কমকে বলেন, পুলিশ দেখে যে যার মত পালিয়েছেন। মেয়ের বাবা-মাকে পাওয়া যায়নি। আবারও বাল্যবিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।