পাবনায় শিল্পপতি পরিবারে দুদকের আরও তিন মামলা
প্রায় ৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে পাবনার ইড্রাল ইউনানী ওষুধ কোম্পানি, সিমলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের মালিক, বিশিষ্ট শিল্পপতি আবুল হোসেন (৬০), স্ত্রী তাসলিমা খাতুন (৪৫) ও তার ছেলে রাজিবুল ইসলাম রাজিবের (৩০) বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে দুদকের দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার (২৯ মে) বিকেলে দুদক পাবনা সমন্বিত আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।
দুদক পাবনা অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুর রহমান জানান, পাবনার ইড্রাল ইউনানী ওষুধ কোম্পানি ও সিমলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের মালিক মো. আবুল হোসেন ১৯৯৭ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত নিজ নামে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি মিলে ৪০ কোটি ৬৬ লাখ ১৪ হাজার ৬১ টাকার সম্পদ গড়ে তোলেন। এর মধ্যে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৮ কোটি ৯১ লাখ ৯১ হাজার ৮২৯ টাকা।
অন্যদিকে স্ত্রী মোছা. তাসলিমা হোসেনের নামে অর্জিত ২ কোটি ৪৯ লাখ ১ হাজার ২১৫ টাকার সম্পদের মধ্যে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১ কোটি ৫ লাখ ৩১ হাজার ৯৩৮ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
এরপর দুদক অনুসন্ধান করে জানতে পারে, আবুল হোসেনের ছেলে রাজিবুল ইসলাম রাজিবের নামে ২ কোটি ৬৩ লাখ ৬১ হাজার ৫শ টাকার সম্পদের মধ্যে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩শ টাকা।
ওই তিনজনের সম্পদের পরিমাণ ৪৫ কোটি ৭৮ লাখ ৭৬ হাজার ৭৭৬ টাকা। এর মধ্যে ৮ কোটি ৯১ লাখ ৯১ হাজার ৮২৯ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করা হয়েছে। এ বিষয়ে দুদক আইনে তাদের ৭ দিনের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয়া হয়।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তিনজনই তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হয়। এ কারণে দুদকের পাবনা অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুর রহমান বাদী হয়ে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে দুদকের অপর একটি মামলায় ইড্রাল ইউনানী ওষুধ কোম্পানি ও সিমলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের মালিক মো. আবুল হোসেন ও তার স্ত্রী তাসলিমা হোসেন কারাগারে আছেন। আর ছেলে রাজিবুল ইসলাম রাজিব পলাতক রয়েছেন।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হক তিনটি মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলাগুলো দুদক তদন্ত করবে।
এর আগে অবৈধ ভাবে অর্জিত ১২ কোটি টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করায় দুদক তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় আবুল হোসেন ও তার স্ত্রী তাসলিমা হোসেন কারাগারে আছেন।