দৌলতদিয়ায় যাত্রীদের কাজে আসছে না হেল্প ডেস্ক

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রীদের জন্য তৈরি হেল্প ডেস্ক। ছবি: বার্তা২৪.কম

দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রীদের জন্য তৈরি হেল্প ডেস্ক। ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হেল্প ডেস্কটি কোনো কাজে আসছে না। বেশির ভাগ সময়ই বন্ধ থাকায় এই সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে যাত্রীরা। ঘাট এলাকায় এসে কোনো সমস্যায় পড়লে এখান থেকে সহযোগিতা নিতে পারছে না তারা।

জেলা প্রশাসন বলছে, ঈদ উপলক্ষে এখন পর্যন্ত ঘাটে যাত্রীদের চাপ না থাকায় তারা এটি চালু করেনি। তবে শনিবার (১ জুন) দুপুরের পর হেল্প ডেস্ক খোলা থাকবে বলে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর হুসাইন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে সরেজমিনে শনিবার দুপুরে হেল্প ডেস্কের সামনে গিয়ে তালা ঝুলতে দেখা যায়। আর হেল্প ডেস্কের সামনে পাশের বাড়ির কয়েকজন শিশু বসে খেলছে। হেল্প ডেস্কের সাইনবোর্ডের হটলাইনে কল দিলে নয়ন সাহা নামে একজন রিসিভ করেন। পরিচয় দেওয়ার পর তিনি নিজেকে হেল্প ডেস্কের অফিস সহায়ক বলে জানান।

হেল্প ডেস্ক বন্ধ কেন জানতে চাইলে তিনি বার্তা২৪.কমকে জানান, হেল্প ডেস্কের চাবি তার কাছে থাকে না। চাবি দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব তৈয়বুর রহমানের কাছে থাকে।

বিজ্ঞাপন

হেল্প ডেস্কের চাবি আছে কিনা জানার জন্য দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব তৈয়বুর রহমানকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। তবে ২০ মিনিট পর দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের কর আদায়কারী আব্দুর রহমান কয়েকটি চাবি নিয়ে এসে হেল্প ডেস্কটি খোলার চেষ্টা করছে। কিন্তু আব্দুর রহমান অনেক চেষ্টা করেও সেটি খুলতে পারেননি।

চাবি ও তালা খুলতে না পারার ব্যাপারে আব্দুর রহমানকে প্রশ্ন করা হলে কোনো উত্তর দেননি তিনি।

হেল্প ডেস্কের সামনে মুদির দোকানদার ইয়াকুব মণ্ডল বার্তা২৪.কমকে জানান, সব সময়ই এটি বন্ধ থাকে। মাঝে মাঝে যাও খোলে তাও অল্প সময়ের জন্য। আর ঈদের আগে এখানকার স্যাররা একটা ব্যানার টাঙিয়ে কিছু ওষুধ-পানি নিয়ে বসে থাকে। তবে এবার এখন পর্যন্ত খোলেনি।

গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বার্তা২৪.কমকে জানান, এখানে বেশ কয়েক বছর আগে যুব উন্নয়নের একটি প্রকল্প চালু ছিল। সে প্রকল্প থেকে মামুন নামে একটি ছেলে সব সময় থাকত। প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন সেও আসে না, এটিও কেউ খোলে না।

এ সময় তিনি জানান, যেহেতু এই ঘাটটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। তাই প্রশাসনের উচিত হেল্প ডেস্কটি সার্বক্ষণিকভাবে খোলা রাখা।

ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি, এখনো কেন হেল্প ডেস্ক বন্ধ এমন প্রশ্ন করলে রাজবাড়ীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর হুসাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আজ শনিবার (১ জুন) দুপুরের পর থেকে এটি খোলা থাকবে। যেহেতু এ কয়দিন ঘাটে যাত্রীদের তেমন একটা ভিড় ছিল না, তাই আমরা এটি চালু করিনি। ঘাট এলাকায় ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।’