মোবাইল ব্যাংকিংয়ে জমেছে ঈদের কেনাকাটা
ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই নতুন পোশাক কেনার ধুম। তাই আসন্ন ঈদুল ফিতর উদযাপনে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে। এ কেনাকাটায় নগদ টাকার পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও লেনদেন করা হচ্ছে।
গ্রামের বাড়িতে ঈদের কেনাকাটায় টাকা পাঠানো হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে। মার্কেটে কেনাকাটা করতে গিয়ে কিছু টাকার ঘাটতি পড়লেও অন্যকোনো সদস্য থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রয়োজন মেটানো হচ্ছে। এমনকি ফিতরার টাকাও পাঠানো হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে।
অপরদিকে, বিভিন্ন কোম্পানির মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কেনাকাটা করে প্রকারভেদে ক্যাশব্যাক বা টাকা ফেরতও পাওয়া যাচ্ছে। তাই ঈদের আগে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে লেনদেনও বেড়েছে।
স্থানীয় মোবাইল ব্যাংকিং রিটেইলার জহিরুল ইসলাম রমজান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘মোবাইল ব্যাংকিং সেবা আসার পূর্বে বিভিন্ন মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠানে প্রিয়জনদের পাঠানো টাকা তুলতে গ্রাহকদের জেলা শহরে যেতে হতো। আর এখন মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা পাঠালে বাড়িতে বসেই টাকা তোলা যায়। প্রযুক্তির উৎকর্ষে আমাদের জীবনযাত্রা অনেক সহজ হয়ে গেছে।’
গৌরীপুর উপজেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তিন শতাধিক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের রিটেইলার রয়েছে। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসব-আয়োজনকে কেন্দ্র করে মোবাইলফোন নির্ভর লেনদেন বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে। ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ১৫ রোজার পর থেকেই প্রিয়জনদের সঙ্গে টাকা লেনদেন করতে স্থানীয় রিটেইলারদের দোকানে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ভিড় করছেন গ্রাহকরা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সবচয়ে বেশি লেনদেন হয় বিকাশে। এছাড়া রয়েছে রকেট, নগদসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং সেবা।
রোববার (২ জুন) উপজেলার বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং রিটেইলারদের দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রাহকদের ভিড়। কার আগে কে টাকা উত্তোলন করবে চলছে তার প্রতিযোগিতা। রিটেইলাররাও গ্রাহকদের সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় ঈদের কয়েকদিন আগে স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ টাকা লেনদের হয়। তবে গত ঈদুল ফিতরের তুলনায় এবারের ঈদে টাকা লেনদেনের পরিমাণ একটু কম বলে জানিয়েছেন রিটেইলাররা।
উত্তর বাজারের বাসিন্দা জাহিদ হাসান রুবেল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ভাইজান বাইরে চাকরি করে। তিনি বাড়িতে আসতে দেরি হবে। তাই ঈদের কাপড় কেনার জন্য মোবাইলে টাকা পাঠিয়েছেন। এখন টাকা তুলে মার্কেটে যাব।’
চকপাড়া মহল্লার বাসিন্দা শাওন আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে সঙ্গে থাকা টাকা শেষ হয়ে গেছে। পরিবারকে জানানোর পর বিকাশে টাকা পাঠিয়েছে। এখন এজেন্টের দোকানে এসেছি ক্যাশ আউট করতে।’
মোবাইল ব্যাংকিং রিটেইলার সাইদুর রহমান লিটু বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে শুধুমাত্র পৌর শহরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা লেনদেন হচ্ছে। শহরের বাইরে শাহগঞ্জ, শ্যামগঞ্জ, কলতাপাড়াসহ অন্যান্য এলাকায় আরও বেশি পরিমাণ লেনদেন হচ্ছে। সহজে দ্রুত নিরাপদ লেনদেনের জন্য এখন মানুষ মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।’