বগুড়ায় হয়রানির শিকার যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা
মহাসড়কে যানজট কম থাকলেও নানা হয়রানি ও বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে ঈদে ঘরমুখো উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের। যানবাহন চালকদের অভিযোগ, মহাসড়কে ঘাটে ঘাটে পুলিশ তাদের হয়রানি করছে। আর যাত্রীদের অভিযোগ, পরিবহন শ্রমিকদের হয়রানিতে তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
গত শুক্রবার (৩১ মে) থেকে মুলত মানুষ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। এ কারণে সেদিন থেকেই মহাসড়কে যানবাহন এবং যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। নিম্ন আয়ের মানুষগুলো প্রতি বছরই অর্থ সাশ্রয়ের জন্য বাসের ছাদে কিংবা ট্রাকে চেপে বাড়ি ফেরেন। এ ধরনের ভ্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ হলেও তাদের ঠেকানো যায় না। আর ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণের অভিযোগে পুলিশ যানবাহন থামিয়ে ‘হয়রানি’ করে পরিবহন শ্রমিকদেরকে। বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কে পুলিশ কর্তৃক হয়রানির দৃশ্য প্রতিনিয়ত চোখে পড়ে।
নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ১৮ জন নির্মাণশ্রমিক কাজ করেন গাজীপুরে। তারা ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার জন্য ভাড়া করেন একটি পিকআপ। চালক জিল্লুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, পথিমধ্যে একাধিক স্থানে পুলিশ কাগজপত্র দেখার নাম করে থামায়। কাগজপত্র ঠিক থাকার পরেও যাত্রী ওঠানোর অভিযোগে টাকা নেয়। পিকআপটি বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের সামনে পৌঁছালেও পুলিশের হয়রানির শিকার হতে হয় চালককে।
তার মত হয়রানির শিকার বেশ কয়েক জন ট্রাকচালক বলেন, ঈদের কারণে মহাসড়কে যাত্রীর চাপ বেড়ে গেছে। যাত্রীর তুলনায় বাসের সংখ্যা অনেক কম। আর এ কারণে মানুষ খালি ট্রাকে অল্প ভাড়ায় বাড়ি ফিরছেন। ট্রাকে যাত্রী ওঠানোর কারণে মহাসড়কে অসংখ্য পয়েন্টে পুলিশকে টাকা দিতে হয়।
অপরদিকে প্রতিনিয়ত পরিবহন শ্রমিকদের হয়রানির শিকার হয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে অসংখ্য যাত্রীকে। কতিপয় বাস ঢাকার বাইরের বিভিন্ন টার্মিনাল থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার যাওয়ার কথা বলে যাত্রী ওঠায়। পথিমধ্যে ভাড়াও নিয়ে নেওয়া হয় যাত্রীদের কাছ থেকে। এরপর বগুড়ায় পৌঁছে বাস থামিয়ে চালক সুপারভাইজার গা ঢাকা দেয়। ফলে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় নিরীহ যাত্রীদের। অনেকের কাছে টাকাও থাকে না যে, বগুড়া থেকে অন্য বাসে রংপুরের উদ্দেশে যাবে।
এসব ব্যাপারে বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, যাত্রী হয়রানির এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে সেই বাস আটক করা হবে। এছাড়া মহাসড়কে যাত্রী হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধে টহল পুলিশের তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।