ঈদের ছুটি কাটাতে ভারত ভ্রমণে উপচে পড়া ভিড়

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাপোল স্থলবন্দর। ছবি: বার্তা২৪.কম

বেনাপোল স্থলবন্দর। ছবি: বার্তা২৪.কম

এবার ঈদে প্রায় এক সপ্তাহের লম্বা ছুটি পাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে অনেকে চিকিৎসা এবং বেড়ানোর উদ্দেশে ভারতে যাচ্ছে। তবে কাস্টমস বা ইমিগ্রেশনে জনবল সংকটে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে বেনাপোল আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবনে গিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ে। এ সময় যাত্রীদের পাসপোর্টের কার্যাদি সারতে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন পুলিশদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়।

বিজ্ঞাপন

সরকারি চাকরিজীবী বরিশালের ঝালকাঠির কামাল হোসেন তার বন্ধুদের সঙ্গে ভারতে যাওয়ার সময় বার্তা২৪.কমকে জানান, এবার ঈদে ৭ দিনের লম্বা ছুটি পাওয়ায় বন্ধুদের সঙ্গে ভারতে বেড়াতে যাচ্ছেন। কয়েকজন আত্মীয় আছে সেখানে। সুযোগ পেলে তাদের সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানান তিনি।

খুলনার অ্যাডভোকেট নবকুমার চক্রবর্তী শারীরিকভাবে বেশ কয়েক মাস ধরে অসুস্থতায় ভুগছেন। আত্মীয়-স্বজনরা তাকে বলেছে ভারতে গিয়ে ভালো ডাক্তার দেখাতে। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে এতোদিন তার সময় হয়ে ওঠেনি। ঈদে লম্বা ছুটি পাওয়ায় এ সুযোগে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে যাচ্ছেন। চিকিৎসা শেষে তিনিও ভারতের কয়েকটি দর্শনীয় স্থান ঘুরবেন বলে জানালেন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে পাসপোর্ট যাত্রী কামনী রায় জানান, পাসপোর্টের কাজ সারতে তাকে প্রায় দুইঘণ্টা যাবৎ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। প্রতিবছর ঈদের সময় ভারত ভ্রমণে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকে। কিন্তু সে পরিমাণে ইমিগ্রেশন, কাস্টমসে জনবল না থাকায় তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দেখা দরকার।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বার্তা২৪.কমকে জানান, এবার ঈদে চাকরিজীবীরা লম্বা ছুটি পেয়েছেন। এ কারণে এবার ভারত ভ্রমণের চাপ অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। অধিকাংশ মানুষ ভারতে যাচ্ছেন বেড়ানোর উদ্দেশে। বাংলাদেশে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে ভারত থেকেও আসছেন অনেকে। যাত্রীদের যাতে কোনো হয়রানি পেতে না হয় এ কারণে ইমিগ্রেশন ভবনে নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী সেবা বাড়াতে তারা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, বেনাপোল দেশের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর হওয়াতে এ পথে ব্যবসা, বাণিজ্য, চিকিৎসা, ভ্রমণ আর কূটনৈতিক কাজে দেশি, বিদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত দেশের অন্যান্য বন্দরের তুলনায় বেশি। প্রতিদিন এ পথে দু’দেশের মধ্যে প্রায় ৫ থেকে ৮ হাজার যাত্রী যাতায়াত করছে। সরকার ৫ বছর থেকে শুরু করে প্রাপ্ত বয়স্ক যাত্রী প্রতি ৫শ টাকা হারে ভ্রমণ কর আদায় করছে। যা পরিমাণে প্রতিবছর দাঁড়ায় প্রায় একশ কোটি টাকার কাছাকাছি। কিন্তু এ পথে স্বাচ্ছন্দ্যে যাত্রী যাতায়াত আজও নিশ্চিত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।