সরকারি গাছ কাটলেন নারী ভাইস চেয়ারম্যান
ঈদের ছুটিতে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সকল অফিস কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ থাকে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সরকারি গাছ কাটলেন জীবননগর উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী।
শনিবার (৮ জুন) সকালে জীবননগর উপজেলা পরিষদে গিয়ে গাছ কাটার সত্যতা পাওয়া যায়।
জানা গেছে, স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আঁতাত করে ঈদের ছুটির সুযোগে উপজেলা চত্বর থেকে সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করেছেন আয়েশা সুলতানা লাকী। বিষয়টি এখন জীবননগর উপজেলা শহরে টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে গাছ চুরির মামলা দায়ের করেছেন জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান।
উপজেলা পরিষদ সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদের সরকারি স্থাপনার ভেতর থেকে একটি সেগুন গাছ কেটে আলমসাধু যোগে নিয়ে যাচ্ছিল কয়েকজন শ্রমিক। এ সময় স্থানীয়রা গাছসহ আলমসাধু ও তাদেরকে আটকিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে খবর দেন। তখন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম হাজির হয়ে গাছসহ শ্রমিকদের আটক করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে আটক শ্রমিকরা জানান, সীমান্ত স’মিলের মালিক শফিকুল ইসলাম (শফি) তাদেরকে গাছ কাটার জন্য নিযুক্ত করেছেন। পরে সীমান্ত স’মিল থেকে সেগুন গাছের আরও দুটি বড় গাছের গুঁড়ি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সীমান্ত স’মিলের মালিক শফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকীর নির্দেশে গাছ কেটেছেন তিনি।
জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জানতে পারি পরিষদের ভেতর থেকে গাছ কাটা হয়েছে। এরপর সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। আটককৃতদের সঙ্গে কথা বলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জীবননগর নারী ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী বলেন, ‘গাছ কাটার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশে একটি মহল এই ঘটনার সঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পাঁয়তারা করছে।’
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া জানান, এ ঘটনায় জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে একটি চুরির মামলা দায়ের করেছেন।