মেয়েজামাইয়ের হাতে শাশুড়ি খুন
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় এক শাশুড়িকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছেন তার মেয়েজামাই। এ ঘটনায় স্ত্রী, শ্যালক ও শ্বশুরও আহত হয়েছেন।
শনিবার (৮ জুন) ভোরে শহরের মাদ্রাসাপাড়ায় খুন-জখমের এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই ঘাতক পুলিশ কনস্টেবল অসীম ভট্টাচার্য পলাতক রয়েছেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ফাল্গুনী অধিকারী ও শ্যালক আনন্দ অধিকারীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শহরের মাদ্রাসাপাড়ায় শ্বশুরবাড়ির কাছেই স্ত্রীসহ ভাড়াবাড়িতে থাকেন অসীম অধিকারী। পারিবারিক বিরোধের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
প্রত্যদর্শীরা জানান, অসীম ও তার স্ত্রী ফাল্গুনীর মাঝে নিয়মিত পারিবারিক বিরোধ লেগে থাকতো। শনিবার ভোরে তাদের মধ্যে আবারও ঝগড়া বাঁধলে স্ত্রী ফাল্গুনী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যান। ফাল্গুনী বাবার বাড়ি যাবার কিছুক্ষণ পর অসীম শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে ফাল্গুনীকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করেন।
এ সময় ফাল্গুনীর মা শেফালী অধিকারী ও শ্যালক আনন্দ অধিকারী ছুটে গিয়ে অসীমকে থামানোর চেষ্টা করলে তিনি তাদেরও ছুরিকাঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান শাশুড়ি শেফালী অধিকারী।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলিমুল্লাহ জানান, খবর পেয়েই ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন কনস্টেবল অসীম ভট্টাচার্য।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ কনস্টেবল অসীম পলাতক হলেও তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।