যানবাহনের চাপ নেই দৌলতদিয়া ঘাটে
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ কমেছে। যানবাহনের তেমন একটা চাপ না থাকায় স্বস্তিতে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন যাত্রীরা। ঘাট এলাকায় এসেই খুব অল্পসময়ে যানবাহনগুলো ফেরির নাগাল পাচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকেলে দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কে হাজারের বেশি যানবাহন নদী পারাপারের অপেক্ষায় থাকলেও বুধবার (১২ জুন) এখন পর্যন্ত ঘাট এলাকায় তেমন একটা যানজট দেখা যায়নি। যানবাহনের যে সিরিয়াল রয়েছে তা সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন ঘাট সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার বিকেল ৪টায় ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, যানবাহনের তেমন একটা চাপ নেই। দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র এক কিলোমিটার পর্যন্ত যানবাহন রয়েছে। তাতে সর্বোচ্চ একশো যানবাহন হবে। এর মধ্যে আবার পণ্যবাহী ট্রাকও রয়েছে। ফলে যাত্রীবাহী কোন পরিবহন ঘাটে এসে পৌঁছালেই খুব স্বল্পসময়ের মধ্যেই ফেরিতে উঠতে পারছে। তবে পচনশীল নয় এমন পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে বেশকিছু সময় ধরে।
মাগুরা থেকে আসা ঈগল পরিবহনের যাত্রী রাজিব মোল্লা বার্তা২৪.কমকে বলেন, এবারের ঈদে বাড়ি আসার সময় বেশ আরামে নদী পার হতে পেরেছিলাম। আবার ঢাকা ফেরার সময়ও বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে কোনরকম ভোগান্তি ছাড়াই নদী পার হতে পারছি। আসলে এবারে ঘাট ব্যবস্থাপনা বেশ ভালো ছিল। এরকম যেন সবসময়ই থাকে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, মঙ্গলবার হঠাৎ করে ঘাটে পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। যানবাহন পার করার জন্য এই নৌরুটে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। আমরা যানবাহনগুলোকে সুশৃঙ্খলভাবে নদী পার করতে পারায় আজ ঘাটে গাড়ির তেমন একটা চাপ নেই। চাপ বাড়ার সম্ভবনাও তেমন নেই।
তিনি আরো জানান, টার্মিনালে যে ট্রাকগুলো রয়েছে সেগুলো এখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যারা সিরিয়ালে আগে ছিল তাদের আগে নদী পার হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে।
দৌলতদিয়া ঘাট ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর আবুল হোসেন বলেন, ঈদের আগে থেকে এখন পর্যন্ত আমরা ঘাট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। যার কারণে এবার ঘাটে যাত্রীদের তেমন একটা ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। আর এখন যে যানবাহন রয়েছে তাতে আর কোন সমস্যা হবে না বলে আশা করছি। কারণ ঘাটে এখন যানবাহনের চাপ নেই বললেই চলে।