সাভারে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ মরদেহ উদ্ধার
সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই নারীসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে তিন জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বুধবার (১২ জুন) দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুর পর্যন্ত আশুলিয়ার নরশিংহপুর এলাকা থেকে তানিয়া খানম (১৮), ডেন্ডাবর এলাকা থেকে সোনিয়া আফরিন (২৬) এবং সাভারের উলাইলের ভান্ডারিয়া মোড় এলাকা, আশুলিয়ার পলাশবাড়ীর পাল গার্মেন্টস সংলগ্ন এলাকা ও বলিভদ্র থেকে অজ্ঞাত বাকি তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সাভার ও আশুলিয়া থানার পুলিশ বার্তা২৪.কমকে জানায়, প্রতিবেশীদের খবরের ভিত্তিতে আশুলিয়ার মির্জানগর এলাকার খালেক মিয়ার বাড়ি থেকে জেসমিন আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ধামরাইয়ের কালামপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় পোশাক শ্রমিক ছিলেন। তার গলায় ওড়না পেচানো ছিল এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড। পারিবারিক কলহের জেরে তাকে হত্যা করা হতে পারে। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী পলাতক রয়েছে।
অপর দিকে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকা থেকে সোনিয়া আফরিন নামের এক পার্লার ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার মাধবপুর গ্রামের শামসুদ্দিন মোল্লার মেয়ে। সেকান্দারের বাড়িতে ভাড়া থেকে ওই এলাকায় বিউটি পার্লারের ব্যবসা করতেন। স্থানীয়রা তার কক্ষে সোনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর আত্মহত্যার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এছাড়া সাভারের উলাইলের ভান্ডারিয়া মোড়, আশুলিয়ার পলাশবাড়ীর পাল গার্মেন্টস সংলগ্ন এলাকা ও বলিভদ্র থেকে অজ্ঞাত আরো তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক এএফএম সায়েদ এবং আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক রিজাউল হক দীপু বার্তা২৪.কমকে বলেন, উদ্ধার করা সব মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। তবে একটি মৃতদেহ ছাড়া বাকি সব ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
সাভার ও আশুলিয়া থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।