মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ঢাকার নবাবগঞ্জে মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন মাদক ব্যবসায়ীরা।
রোববার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার ফুল্লা ইউনিয়নের আটকাউনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবলীগ নেতা আরিফ হোসেন (৩৫) ফুল্লা ইউনিয়নের মৃত জামাল হোসেনের ছেলে। আরিফ স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
জানা যায়, মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ার জের ধরে পূর্ব থেকেই আরিফের সাথে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী রতনের শত্রুতা তৈরি হয়। আরিফ একাধিকবার রতনকে মাদক ব্যবসা থেকে সরে আসার আহ্বান করেন। কিন্তু রতন তা না শুনে উল্টো আরিফকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
এরই মাঝে আরিফ এলাকায় মাদক ব্যবসা বন্ধে থানায় অভিযোগও করেন। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে রতন আরিফকে বিভিন্ন সময় হুমকি দেন।
হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী নিহত আরিফের ভাতিজি মৌসুমী (৩২) পুলিশকে জানান, রোববার সন্ধ্যায় আরিফ বাড়ির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন আরিফ। এ সময় হঠাৎ মাদক ব্যবসায়ী রতন সহ কয়েক জন আরিফকে ধাওয়া করেন। এ সময় রতনের সাথে ছিলেন মো: সাইফুল হোসেন, এরশাদ, শাহ আলম, পিয়াস, আইয়ুব মোল্লা, মো: মজিবর ও রিয়াজুল।
পুলিশ জানায়, ধাওয়া খেয়ে আরিফ দৌড়ে গিয়ে পাশের চাচার বাড়িতে আশ্রয় নেন। তার পিছু নিয়ে রতন সহ অন্য হামলাকারীরাও ঐ বাড়িতে ঢুকে পড়ে। পরবর্তীতে ঐ বাড়িতে থাকা মৌসুমী ও তার মাকে গলায় অস্ত্র ধরে জিম্মি করে এবং আরিফকে উপর্যপুরি কুপিয়ে জখম করে।
হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দোহার সার্কেলের এএসপি এস এম জহিরুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার সাথে জড়িতদের সাথে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।’