গৃহপালিত পশু পালন করে স্বাবলম্বী ঘাটি বস্তিবাসী

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মৌলভীবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঘাটি বস্তি এলাকায় গরুকে খাবার খাওয়াচ্ছে এক চাষি।  ছবি: বার্তা২৪.কম

ঘাটি বস্তি এলাকায় গরুকে খাবার খাওয়াচ্ছে এক চাষি। ছবি: বার্তা২৪.কম

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের ঘাটি বস্তি এলাকায় গৃহপালিত পশু পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছে অনেকেই।

সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, লোকজন গৃহপালিত গরুকে খাবার খাওয়াচ্ছে। কেউ গরুর গলায় রশি দিয়ে বাঁধছে। কেউ ঘাস খাওয়াচ্ছে। কেউ ৮-১০টি গরু পালন করছে, কেউ ৬টি, কেউ আবার ৪টি। এ রকম প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরেই গরু পালন করা হচ্ছে। এরা সকলেই এখন স্বাবলম্বী। গরু পালন করে অনেকে জমি ক্রয় করে তাতে ফসলও ফলাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

শুধু যে গরু পালন করছে তাই নয়, পাশাপাশি ছাগল, হাঁস, মুরগি, কবুতরও পালন করা হচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/17/1560760598406.jpg

বিজ্ঞাপন

ঘাটি বস্তি এলাকার নুর মিয়া জানান, বাপ-দাদার আমল থেকে তাদের পরিবার গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি পালন করে আসছে। তিনিও প্রায় ৩৫ বছর ধরে পালন করছেন। প্রতি বছর কোরবানির ঈদে বেশি না হলেও অন্তত একটি গরু বিক্রি করেন তিনি। আর একটি গরু বিক্রি করে তিনি ৫০ থেক ৬০ হাজার টাকা পান।

ওই এলাকার নুরুল ইসলাম জানান, তিনি ৮টি গরু পালন করছেন। দু’বছর পর পর তিনি গরু বিক্রি করেন। গরু বিক্রি করে এখন স্বাবলম্বী তিনি।

স্থানীয় সুমী নামে এক গৃহবধূ জানান, তিনি ছাগলসহ হাঁস-মুরগি পালন করেন। এতে তার বাড়তি উপার্জন হয়।

সিন্দুরখান ইউনিয়নের বিশিষ্টজনরা মনে করছেন, গ্রামাঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। পাশাপাশি সকলের ঘরে রয়েছে গবাদি পশু পালন। যদি সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়, তাহলে সকলে আরও আগ্রহের সঙ্গে গৃহপালিত পশু পালন করবে। এতে এলাকার মানুষের গরুর দুধের পাশাপাশি মাংসের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।

এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রুহুল আমিন বার্তা২৪.কমকে জানান, গ্রাম্য এলাকায় যারা গৃহপালিত পশু পালন করেন তাদেরকে যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মাধ্যমে বিভিন্ন ট্রেনিং করানো হয়। পাশাপাশি তাদের ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। প্রতি বছর রাজস্ব প্রকল্প থেকে উপজেলার ৩০ থেকে ৪০ জনকে ঋণ দেয়া হয়। এছাড়া এন.এ.পি.টি ২ প্রকল্পের আওতায় ৫৪০ জন খামারিকে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগির চিকিৎসা দেয়া হয়।