বগুড়ায় বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের সংঘর্ষ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

বগুড়া-৬ (সদর) আসনে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের সাথে বিএনপির প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংর্ঘষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ পর্যন্ত পাঁচজনকে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে বগুড়া সদরের শাখারিয়া ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সহিংসতা এড়াতে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা জানান, মালয়েশিয়া প্রবাসী যুবদলের সভাপতি মো. মিনহাজ বগুড়া-৬ আসনে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এ কারণে তার ভাই শাখারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এখলাস ছাড়াও স্থানীয় বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা ধানের শীষের পক্ষে কাজ না করে মিনহাজের আপেল মার্কার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

সোমবার দুপুরে ধানের শীষের প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে শাখারিয়া ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া গ্রামে ধানের শীষের প্রচার চালাতে যান। এসময় মিনহাজের অনুসারীরাও সেখানে আপেল মার্কার পক্ষে প্রচার করছিলেন। ধানের শীষের নেতাকর্মীরা এক পর্যায়ে তাদের বাধা দিলে শুরু হয় সংর্ঘষ। এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজের অনুসারীরা ধানের শীষের কর্মীদের বহরে থাকা দুইটি মাইক্রোবাস এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। ধানের শীর্ষের কর্মীরা আপেল মার্কার নির্বাচনি অফিস ভাংচুর করে। মিনহাজের পোস্টার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

বিজ্ঞাপন

Bagura Clash

সংর্ঘষে আহতদের মধ্যে ধানের শীষের কর্মী শ্রমিকদল নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, ছাত্রদল নেতা সিপাত আল আমিন, আরিফুর রহমান আরিফ এবং আপেল মার্কার কর্মী মাসুদ ও সম্রাটকে গুরুতর আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, কোনো উস্কানি ছাড়াই ধানের শীষের কর্মীরা আমার নির্বাচনি অফিসে হামলা চালায় এবং পাঁচ বাড়িয়া গ্রামে লাগানো আপেল মার্কার পোস্টার-ব্যানার ছিড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় আমার কর্মীরা বাধা দিলে সংর্ঘষ শুরু হয়। সংর্ঘষে আমি নিজেও মারধরের শিকার হয়েছেন।

অপরদিকে বগুড়া সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্থানীয় বিএনপি অফিসকে আপেল মার্কার নির্বাচনি অফিস বানানো হয়েছে। এছাড়াও মিনহাজের ভাই এখলাস স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তিনি ধানের শীষের পক্ষে কাজ করছেন না। তাকে ডেকেও পাওয়া যায় না। বিএনপি অফিস ব্যবহার করার প্রতিবাদ করতে গেলে আপেল মার্কার লোকজন হামলা করে।

বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) রেজাউল করিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। বিএনপি অফিসকে আপেল মার্কার নির্বাচনি অফিস বানানো নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।