লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীর দেওয়া গরম তেলে ঝলসে গেলেন স্বামী
-
-
|
আহত দিদার, ছবি: বার্তা২৪
লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে গরম তেল ঢেলে দিয়ে নির্মাণ শ্রমিক স্বামীর শরীর ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে স্বামী দিদার হোসেনের মুখ-হাত ও বুকসহ শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
সোমবার (১৭ জুন) সকালে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ রোড এলাকায় ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। অবস্থার অবনতি ঘটায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল থেকে দিদারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। দগ্ধ দিদার সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের চররুহিতা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
দিদারের বড় ভাই আকবর হোসেন জানায়, ২০০৩ সালে উপজেলার চররমনী মোহন গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে জহুরার সঙ্গে দিদারের বিয়ে হয়। পরে পারিবারিক কলহের কারণে ২০১৬ সালে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। পরে দুইজনই অন্যত্র বিয়ে করেন। প্রায় এক বছর আগে জহুরাকে পুনরায় দিদার বিয়ে করেন। এরপর থেকে তারা লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ রোড এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। ঘটনার সময় পারিবারিক কলহের জের ধরে জহুরা ও তার ভাই আলমগীর গরম তেল ঢেলে দিদারের শরীর ঝলসে দেয়।
দিদারের বোন রেহানা আক্তার বলেন, ‘জহুরা ও তার ভাই আলমগীর আমার ভাইয়ের শরীরে গরম তেল ঢেলে দিয়েছে। পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, নিজের ইচ্ছেমতো দিদার বিভিন্নস্থানে একাধিক বিয়ে করেছেন। এনিয়ে স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দীর্ঘদিন মতবিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রী ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ঘটনার পর থেকে জহুরা ও তার ভাই আলমগীর পলাতক রয়েছেন। এজন্য তাদের বক্তব্য জানা পাওয়া যায়নি।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গরম তেলে রোগীর মুখ-হাত ও বুকসহ শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এখানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।’
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।’
