ভারতে অবৈধ প্রবেশ, ইমিগ্রেশনের ৩ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

  • আজিজুল হক, স্টাফ করেসেপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া একই ঘটনায় দুই লাখ টাকাসহ রুহুল নামে ইমিগ্রেশনের এক এনজিও সদস্য সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র কাছে আটক আছে।

সোমবার (১৭ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্যকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে যশোর পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যাহারকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন- কনেস্টেবল এসকে আযম, কনেস্টেবল রুমা বেপারী ও কনেস্টেবল তৃষা বিশ্বাস।

জানা গেছে, সোমবার (১৭জুন) সকাল ৯টায় বেনাপোল ইমিগ্রেশনের এনজিও সদস্য হিসেবে পরিচিত রুহুল নামের এক যুবকসহ তিন পুলিশ সদস্য আযম, রুমা বেপারী ও তৃষা বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে পাসপোর্ট ছাড়া মৌখিকভাবে বিজিবি ও বিএসএফকে জানিয়ে কেনাকাটার নাম করে ভারতে প্রবেশ করেন। এ সময় কনেস্টেবল আযম সাদা পোশাক এবং অন্য দুই পুলিশ সদস্যের সরকারি পোশাক পরা ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

আধাঘণ্টা পর হুন্ডির ১২ লাখ টাকা নিয়ে তারা চারজন ফেরার সময় গোপন সংবাদে ভারতের পেট্রাপোল ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে যায়। পরে তাদের শরীর তল্লাশি করে ১২ লাখ টাকা উদ্ধার করে আটকে রাখে।

এদিকে পুলিশ সদস্য আটকের খবর পেয়ে বিভিন্ন মহল থেকে তাদের ছাড়াতে দেন দরবার চলে । এক পর্যায়ে সমঝোতায় বিকেল ৫টায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে বিএসএফ সদস্যরা তিন পুলিশ সদস্যকে তুলে দেন। অপর ইমিগ্রেশনের এনজিও সদস্য রুহুলকে টাকাসহ আটকে রাখে।

বেনাপোল চেকপোস্ট আইসিপি ক্যাম্পের সুবেদার বাকি বিল্লা বার্তা২৪.কমকে জানান, তারা চারজন কেনাকাটার নাম করে ভারতে যান। তারা ফিরে আসার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের ক্যাম্পে নিয়ে তল্লাশি করে। পরে জানতে পারি হুন্ডির দুই লাখ টাকাসহ রাহুল নামে একজনকে বিএসএফ আটকে রেখে তিন পুলিশ সদস্যকে ছেড়ে দিয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘যার কাছে টাকা পাওয়া গেছে তাকে বিএসএফ আটকে রেখেছে। আমার পুলিশ সদস্যদের কাছে কিছু না পাওয়ায় তারা তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। তবে অফিসকে না জানিয়ে ভারতে যাওয়ার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে যশোর পুলিশ লাইনে প্রত্যাহারের নির্দেশ এসেছে। তারা কোনো অপরাধ করেছে কিনা তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখবেন।’