চাঁপাইনবাবগঞ্জে মনিরুল হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আলোচিত যুবলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী মনিরুল হত্যা মামলায় নয় জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শওকত আলী এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ১২ আসামি উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিন আসামি পলাতক।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বালিয়াদিঘী গ্রামের মৃত আলী ঘোষের ছেলে মো. আখিরুল ইসলাম, একই এলাকার মৃত মামলত হোসেনের ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, শিবগঞ্জ পৌর এলাকার চতুরপুর মহল্লার সেন্টু কাপড়িয়ার ছেলে তহুরুল ইসলাম টুটুল, নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের রশিকনগর গ্রামের আবদুল জাব্বারের ছেলে মো. আবদুল মালেক, রশিকনগর গ্রামের মৃত হোসেন মন্ডলের ছেলে সিরাজুল ইসলাম ওরফে সেন্টু, মনাকষা ইউনিয়নের সাহাপাড়া গ্রামের হাজী মনজুর হোসেনের ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম, একই ইউনিয়নের পারচৌকা রানিনগর গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে মো. মাসুদ রানা (পলাতক), কানসাট ইউনিয়নের চরভবানিপুর গ্রামের মো. কশিম উদ্দিনের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম, ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের কাঠালিপাড়া গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে আবদুস সালাম (পলাতক)।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রাজশাহী জেলার বেলেপুকুর গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেন বাবুর স্ত্রী মোসা. পারুল বেগম (পলাতক) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের মৃত মোকবুল হোসেনের ছেলে মো. মাসুদ ওরফে লাল চান।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর সোনামসজিদ স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা মনিরুল ইসলামকে দাওয়াতের নাম বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান আসামিরা। পরস্পর যোগসাজশ করে শিবগঞ্জ স্টেডিয়ামের কাছে তাকে গুলি করে হত্যা করে। পরে ওইদিন রাতেই পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় তখনকার সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের নেতা আখিরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, তহুরুল ইসলাম টুটুলসহ ১৫ জনকে আসামি করে নিহতের স্ত্রী রহিমা বেগম বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে গত ২০১৫ সালের ১৫ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তৎকালীন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মতিউর রহমান সিদ্দিকী। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারক এ রায়ে দণ্ডিত করেন। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মামলার চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
বেকসুর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- ওবাইদুর রহমান সেলিম রেজা, সেনাউল ইসলাম, খাইরুল ইসলাম।