স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বালু বাণিজ্যে ভাঙছে জনপদ
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ওয়াপদা খাল থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাবুল আনসারীর বিরুদ্ধে। তার এ বালু বাণিজ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে খালের আশপাশের জনপদে। এতে আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয়রা।
বালু উত্তোলন বন্ধে আলাউদ্দিন নামে ওই এলাকার এক ব্যক্তি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের স্প্রিং ব্রিজ এলাকার ওয়াপদা খালে ৫টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে গত ১ মাসে অবৈধভাবে প্রায় ২ লাখ ফুট বালু উত্তোলন করেছেন বাবুল আনসারী। বালু উত্তোলনে তাকে বাধা দিলে তিনি অস্ত্রের মুখে সবাইকে হুমকি দিয়ে আসছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চরশাহী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্প্রিং ব্রিজ এলাকার ওয়াপদা খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আনসারীসহ তার লোকজন। এতে খালের তীর ভেঙে যাচ্ছে। হুমকিতে রয়েছে আশপাশের বাড়ি-ঘর। বালু উত্তোলনে বাধা দিলে অস্ত্রের মুখে স্থানীয়দের মারধরের হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি চরশাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদকেও জানানো হয়েছে।
এর জের ধরে গত ২১ জুন বাবুল ও তার সহযোগী মিঠুকে নিয়ে এসে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। মিঠু সন্ত্রাসী দিদার বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পরিচিত। দলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বাবুল এলাকায় চাঁদাবাজি করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আনসারী বলেন, ‘বালু উত্তোলনের বিষয়টি সত্য নয়। আমার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালানো হচ্ছে। আমাকে হেয় করার লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে এ অভিযোগ করা হয়েছে।’
চরশাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদ বলেন, ‘বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমি জানি না। আমাকে কেউ বলেনি। তবে খোঁজ খবর নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল বলেন, ‘অভিযোগটি এখনো আমি পায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’