১৪ দিন ধরে অচল বেনাপোল কাস্টমসের স্ক্যানার

  • আজিজুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাপোল স্থলবন্দরের স্ক্যানার, ছবি: বার্তা২৪

বেনাপোল স্থলবন্দরের স্ক্যানার, ছবি: বার্তা২৪

বেনাপোল স্থলবন্দরের কাস্টমস চেকপোস্টে চোরাচালান প্রতিরোধে ব্যবহৃত একমাত্র স্ক্যানারটি প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে অচল হয়ে আছে। এটি মেরামতে কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। ফলে স্বর্ণ ও বৈদেশিক মুদ্রাসহ মূল্যবান সামগ্রী পাচারের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছেন, চোরাচালান প্রতিরোধে ব্যবহৃত এই স্ক্যানারটি প্রতিমাসে একবার করে অচল হয়। এতে চেরাকারবারীরা এ পথ দিয়ে নির্ভয়ে পাচার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, মেশিনটির যন্ত্রাংশ নষ্ট হলে দেশে পাওয়া যায় না। ফলে মেরামতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে বেনাপোল দিয়ে চিকিৎসা,ব্যবসা ও ভ্রমণসহ বিভিন্ন কাজে যাত্রীদের যাতায়াত বেশি। প্রতিদিন প্রায় ৫ থেকে ৭ হাজার যাত্রী যাতায়াত করছে। তেমনি অনুন্নত অবকাঠামোর কারণে, চোরাচালানীরাও এ পথকে নিরাপদ ভেবে স্বর্ণ, বৈদেশিক মুদ্রাসহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী যাত্রীর ছদ্দবেশে পাচার করছে। বেনাপোল কাস্টমসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় এ সমস্ত চালানের অধিকাংশ আটক হচ্ছে ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসে গিয়ে জানা যায়, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে যাত্রীর ব্যাগেজ পরীক্ষার কাজে ব্যবহৃত স্ক্যানারটি সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়ে আছে। ব্যাগ পরীক্ষা না করেই কাস্টমস সদস্যরা সব ধরনের যাত্রীদেরকে ভারত প্রবেশে অনুমতি দিচ্ছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী পারভেজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘প্রতি বছর এপথ দিয়ে যে পরিমাণ যাত্রী যাতায়াত করে তা থেকে সরকার প্রায় শত কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত যাত্রী সেবা নেই কাস্টমসে। প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উন্নয়নও নেই। এ প্রকার দুর্ভোগ ও হয়রানির মধ্য দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া কাস্টমসের সহযোগিতায় অবাধে পাচার হচ্ছে অনেক পণ্য। এতে কাস্টমসের কারও পকেট ভারী হলেও সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।’

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, স্ক্যানার অচল থাকায় পাচারের সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। পাঁচ হাজার যাত্রীর ব্যাগ তো আর হাতে তল্লাশি করা যায় না। বিষয়টি কাস্টমসের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। এছাড়া যে যন্ত্রটি নষ্ট হয়েছে তার মূল্য ১২ লাখ টাকা। দেশেও এটি কিনতে পাওয়া যায় না। তাই অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’