অগ্নিদগ্ধ কলেজছাত্রী ফুলন রানী মারা গেছেন
অবশেষে ১৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর জীবনযুদ্ধে হেরে গেলেন নরসিংদীর অগ্নিদগ্ধ কলেজছাত্রী ফুলন রানী বর্মণ (২২)।
বুধবার (২৬ জুন) সকালে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে তার মৃত্যু হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৩ জুন রাত সাড়ে ৮টায় শহরের বীরপুর মহল্লায় পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে সদাই কিনে বাসায় ফেরার পথে ফুলনের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে তার শরীরের ১২ ভাগ পুড়ে যাওয়া অবস্থায় প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
ফুলন শহরের বীরপুর মহল্লার যোগেন্দ্র চন্দ্র বর্মণের মেয়ে। তিনি ২০১৮ সালে শহরের উদয়ন কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
এ ঘটনায় পরদিন (১৪ জুন) অগ্নিদগ্ধ ফুলন রানীর বাবা যোগেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পরে ঘটনার তদন্তে নেমে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ একাধিক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রহস্য উদঘাটিত হয়।
পরে ২১ জুন (শুক্রবার) নরসিংদীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমীন আক্তার পিংকির আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ফুলনের পরিবারের প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই ফুলনের গায়ে পরিকল্পিতভাবে আগুন দেওয়ার কথা স্বীকার করেন রাজু সুত্রধর নামে এক আসামি।
পরদিন একই ধরনের স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন ফুলনের ফুফাতো ভাই ভবতোষ বর্মণ। সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৫ জুন) জবানবন্দি প্রদান করেন অপর আসামি আনন্দ বর্মণ।
ফুলনের ফুফাতো ভাই ভবতোষ বর্মণের পরিকল্পনায় রাজু সূত্রধর ও আনন্দ বর্মণ নামে দুই সহযোগী আগুন দেওয়ার ঘটনায় অংশ নেন।