মনপুরায় দেনার দায়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতীকী

প্রতীকী

ভোলার মনপুরায় গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মাত্র ২ হাজার টাকা দেনার দায়ে তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ নিহতের স্বজনদের।

শুক্রবার (২৮ জুন) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের জনতা বাজার সংলগ্ন ওয়াপদার পরিত্যাক্ত ভবনের পাশে একটি আম গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ভোলা হাসাপতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত যুবক মো. সোহাগ (২২) দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা রফিক মাঝির ছেলে।

নিহত সোহাগের বড় ভাই অহিদ ও শহীদ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মাছ ধরতে নদীতে যাবে বলে ঘর থেকে বের হয় সোহাগ। পরে জনতা বাজারের উত্তর মাথায় শাহাবুদ্দিন দালাল ২ হাজার টাকার জন্য সোহাগকে চড়-থাপ্পর মারে।

বিজ্ঞাপন

দুই ভাইয়ের অভিযোগ ২ হাজার টাকার জন্য শাহাবুদ্দিন দালালসহ অন্যান্যরা তাদের ছোট ভাই সোহাগকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে।

নিহতের বাবা অভিযোগ করে বলেন, ২ হাজার টাকার জন্য আমার ছেলেকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখে শাহাবুদ্দিন ও তার সহযোগীরা। সকালে খবর পেয়ে ছেলের লাশ ঝুলতে দেখে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানাই। পরে থানায় গিয়ে পুলিশেকে জানালে পুলিশ একটি কাগজে আমার দস্তখত রাখে।

এদিকে অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিন দালাল মোবাইল ফোনে জানান, একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। নিহত সোহাগের সাথে আমার কোন লেনদেনের সর্ম্পক নেই। ঘটনার রাতে আমি বাড়িতেই ছিলাম।

সাদা কাগজে দস্তখতের ব্যাপারে এস.আই সনজীব জানান, রফিক মাঝির অভিযোগপত্রে দস্তখত নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফোরকান আলী জানান, থানায় ইউডি মামলা নেওয়া হয়েছে। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, রিপোর্ট দেখে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।