নিম্নমানের সামগ্রী হওয়ায় কাজ বন্ধ করে দিল এলাকাবাসী
নিম্নমানের ইট আর বালু দিয়ে কাজ করায় রাস্তা পাকাকরণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণসামগ্রী সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাইককান্দি গ্রামে। ওই এলাকার ভাটিপাড়া-আড়কান্দির দেড় কিলোমিটার প্যাকেজ রাস্তা পাকাকরণের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফরিদপুরের আলাউদ্দিন ট্রেডিং কোম্পানি। কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা সজল কুমার দত্ত। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বুধবারের (৩ জুলাই) মধ্যে রাস্তা পাকাকরণের সব সামগ্রী সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা পাকা করার জন্য দুই ধারে ইট, খোয়া ও বালু ফেলে রাখা হয়েছে। আর বালু দিয়ে রাস্তার বেড তৈরি করা হয়েছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রীর অভিযোগ এনে গ্রামবাসী রাস্তার ওপর অবস্থান করছেন। রাস্তা তৈরি করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা কাজ করতে গেলে গ্রামবাসীর তোপের মুখে তারা কাজ না করে ফিরে যায়।
পাইককান্দি গ্রামের ভাটিপাড়ার বদরুল ও সুইট বার্তা২৪.কমকে বলেন, কয়েক দিন ধরেই আমরা ঠিকাদারকে বলে আসছি- এই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা যাবে না। কিন্তু তারা আমাদের কথার কোনো গুরুত্বই দেয়নি। মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাস্তার কাজ করার জন্য যে বালু ও ইট এনেছে, তা একেবারেই নিম্নমানের। বালুর মধ্যে শুধু কাঁদা ও মাটি মেশানো। আর ইটের খোয়া হাত দিয়ে চাপ দিলেই তা ভেঙে যাচ্ছে।
সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নায়েব আলী শেখ বার্তা২৪.কমকে বলেন, এলাকাবাসী দুইদিন ধরে আমার কাছে নিম্নমানের সামগ্রীর অভিযোগ করে আসছে। পরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর বিষয়টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তাকে জানাই। তারা বলেছেন- প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
উপজেলা প্রকৌশলী সজল কুমার দত্ত নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রীর কথা স্বীকার করে বার্তা২৪.কমকে জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সেই সাথে ওই সব ইট-বালু দিয়ে কাজ না করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে। তাছাড়া আজকের মধ্যেই রাস্তা থেকে পচা ইট ও খোয়া সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সাব-কন্টাক্টার বহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি তা ধরেননি।