নুসরাতের শ্লীলতাহানির মামলা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ফেনীর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসাইন মামলার সব নথিপত্র নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদের আদালতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন সকালে এ মামলার একমাত্র আসামি বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ সিরাজকে আমলি আদালতের এজলাসে হাজির করা হয় এবং তার উপস্থিতিতে অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি শেষে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আগামী ১০ জুলাই এ মামলার বিচারকাজ শুরু হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম।
মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার আগে যৌন হয়রানির মামলায় সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে বুধবার (০৩ জুলাই) আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফেনী পিবিআইয়ের পরিদর্শক শাহ আলম জানান, গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা নুসরাতকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত সিরাজকে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশ সদর দফতর থেকে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। পিবিআই ৯৬ দিনের মাথায় বুধবার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। ২৭১ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে ডাক্তার ও পুলিশসহ মোট ২৯ সাক্ষী রয়েছে।