কুলি দিয়ে চলছে নাচোল রেলস্টেশনের কার্যক্রম
স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল রেলস্টেশনে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। মাস্টার ছাড়াই কুলি দিয়ে চলছে স্টেশনের সকল কার্যক্রম। ফলে দীর্ঘদিন যাবত স্টেশনটি অবৈধ দখলদারদের কবলে রয়েছে।
জানা গেছে, এ রুটে যাতায়াতকারী মহানন্দা এক্সপ্রেস, শাটল ও কমউিটার ট্রেনের বগির সংখ্যা রহনপুর-রাজশাহী রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল হওয়ায় ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে যাতায়াতকারী ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজ ও শ্বিবদ্যিালয়রে শিক্ষার্থী এবং সাধারণ যাত্রীদের অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছ।
বিশেষ করে সকাল ৮টায় ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা রহনপুর গামী শাটল ট্রেনটির বগির সংখ্যা মাত্র পাঁচটি থাকায় অনেক যাত্রী ট্রেনে বসার আসন না পেয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন না। একইভাবে রহনপুর থেকে ভোর সাড়ে ৫টায় ছেড়ে আসা খুলনাগামী মহানন্দা এক্সপ্রেসে মাত্র সাতটি বগি থাকায় নাচোল স্টেশনে আসা যাত্রীরা আসন তো দূরের কথা বগিতে দাঁড়ানোর জাইগাও পায় না।
এছাড়া ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা রহনপুর গামী কমউিটার ট্রেনটি দিনে দুইবার এ রুটে চলাচল করে। কিন্তু ওই ট্রেনের পর্যাপ্ত বগি না থাকায় নাচোলের যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অন্যদিকে, নাচোল থেকে ঢাকাগামী যাত্রীরা টিকিট না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নাচোল রেলস্টেশনে প্ল্যাট ফরমের পূর্বদিকে ভূমি অফিস, মৎস্য খামার, খাদ্যগুদাম, রেলওয়ে বাজারসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও একটি ওভার ব্রিজের অভাবে হাজার হাজার মানুষ জীবনেরর ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইনের উপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
বৃটিশ আমলে স্থাপিত ও বিরাঙ্গনা ইলামিত্রের স্মৃতি বিজড়িত নাচোল রেল স্টশেনটি দ্বিতীয় শ্রণীর হলেও স্বাধীনাতার ৪৮ বছর পরও এর কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। নানা সমস্যায় র্জজরিত স্টেশনটি দিন দিন চলে যাচ্ছে অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে।
স্টেশনটি অবৈধ দখলদার ও মাদক ব্যবসায়ীদরে নিয়ন্ত্রণে থাকায় যাত্রীরা স্টেশনে দাঁড়িয়েও থাকতে পারে না। এছাড়া প্লাটফরমে অটোভ্যান, মোটরসাইকলেসহ অন্যান্য যানবাহন অবাধে চলাচল করছে। তাদের দখলের কারণে যাত্রীরা রোদ, বৃষ্টির সময় দাঁড়াতেও পারে না।
এ বিষয়ে জানতে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অবহেলতি নাচোল রেলস্টেশনটির উন্নয়নের জন্য রেল মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।